রাষ্ট্রায়ত্ত ৬টি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের সিংহভাগই জনতা ব্যাংকের। চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১৫ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা। একই সময়ের মধ্যে ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ঋণ দিয়েছে এক লাখ ৮২ হাজার ৪০৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪১ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা।
একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে রোববার বিকালে বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ মো. মশিউর রহমান রাঙ্গার তারকাচিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য দেন।
মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকের খেলাপি ঋণের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের ৮ হাজার ৪৬৭ কোটি, জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১৫ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৪ হাজার ৯০ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৭ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫৫৮ কোটি টাকা।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ আদায়ে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে বিকল্প বিরোধী নিষ্পত্তি অর্থ ঋণ আদালত আইন ২০০৩ এর আওতায় মামলা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ব্যাংকসমূহ ত্রৈমাসিক রিপোর্টের আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ঋণ আদায়ে পিছিয়ে পড়া ব্যাংক সমূহকে সময়ে সময়ে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে এবং ব্যাংকার্স সভায় ঋণ আদায় কার্যক্রম জোরদার করতে সময়ে সময়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের পরামর্শ প্রদান করে।
তাছাড়া প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত খেলাপি গ্রাহকের কাছ থেকে ঋণ আদায় বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ১৬ মে বিআরপিডি সার্কুলার নং ০৫ ইস্যু করা হয়েছে। এই সার্কুলারে সহজ শর্তে ঋণ পুনঃতফসিল এবং এককালীন এক্সিটের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।