লাদাখে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যেই এবার অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে সরব হয়েছে চীন। অরুণাচল প্রদেশকে কখনও স্বীকৃতিই দেয়া হয়নি বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবারও জানিয়ে দিয়েছেন।
সম্প্রতি চীনা সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মির সদস্যরা ভারতের পাঁচ নাগরিককে অপহরণ করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার বেইজিংয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান।
তিনি বলেন, ওই এলাকায় পাঁচ ভারতীয় নিখোঁজ হওয়া নিয়ে চীনা বাহিনীর কাছে কী বার্তা এসেছে, সে ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।
এদিন একই সঙ্গে অরুণাচল নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
ঝাও লিজিয়ান বলেন, তথাকথিত অরুণাচল প্রদেশকে কখনওই স্বীকৃতি দেয়নি চীন। ওই এলাকাটি চীনের অন্তর্গত দক্ষিণ তিব্বত।
ভারতীয় কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মে মাস থেকে লাদাখে চীনা বাহিনীর সঙ্গে চলমান অস্থিরতা থেকে নজর ঘোরাতে চীন অরুণাচলের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনছে।
ভারত ও চীনের ১৯৬২ সালের সীমান্ত যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দু অরুণাচলকে ঘিরে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ বেধে যেতে পারে বলে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা ধারাবাহিকভাবে সতর্ক করে আসছেন।
অরুণাচল প্রদেশকে শুরু থেকে চীন দক্ষিণ তিব্বতের অংশ বলে দাবি করে এসেছে। শুধু তাই নয়, গত বছর ডিসেম্বরে অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সফরের তীব্র বিরোধিতা করেছিল চীন।
বেইজিং বলেছে, চীন কখনোই অরুণাচল প্রদেশকে ভারতীয় ভূখণ্ড হিসেবে মানতে রাজি নয়। কারণ প্রকৃতপক্ষে এই অঞ্চলটি হচ্ছে দক্ষিণ তিব্বত।
বিতর্কিত অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত সমস্যা নিরসনে চীন এবং ভারত এখন পর্যন্ত মোট ২১ দফা বৈঠক করেছে। কেননা দেশ দুটির মধ্যে প্রায় তিন হাজার ৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা