ইউএনও ওয়াহিদাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় দুই গৃহপরিচারিকা আটক

দিনাজপুর প্রতিনিধি

ইউএনও ওয়াহিদা খানম

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে হত্যাচেষ্টার দায়ে করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির দুই গৃহপরিচারিকাকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন জবেদা ও আরসোলা।

রবিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম বলেন, আটক দুইজনকে জেলা ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।

এর আগে গত শনিবার গৃহকর্মী জবেদাকে আটক করা হলেও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যাচেষ্টা মামলায় আরও যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন- উপজেলার বানিয়াল পালশা গ্রামের খোকা শেখের ছেলে মো. শাহজাহান শেখ, চক বাসুনিয়া বিশ্বনাথপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে সোহেল রানা, মামলার প্রধান আসামি আসাদুলের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম, একই গ্রামের সইমুদ্দিনের ছেলে সুলতান ও ধীরেন্দ্র নাথের ছেলে শ্যামল চন্দ্র।

জানা গেছে, এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি ওসি ইমাম জাফর। মামলার বাদী ইউএনওর বড় ভাই শেখ আরিফ হোসেন।

মামলার প্রধান আসামিরা হলেন- রংমিস্ত্রী নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমার। এ দুই আসামিকে ৭ দিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। প্রধান আসামি আসাদুল হক রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন থাকায় সন্ধ্যায় তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকেও রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

গত বুধবার রাত ৩টার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। হত্যার উদ্দেশ্যে তারা ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। আহত বাবা-মেয়েকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় পরে ইউএনও ওয়াহিদাকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়। বর্তমানে ঢাকার আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে তার বাবা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ইউএনও ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেকটা ভালো।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে