নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের কারণ এসি নয়

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

ফতুল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণ
ফতুল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণ। ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর তল্লা এলাকায় মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের কারণ এসি নয় বলে তদন্ত কমিটির প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে।

বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে গঠিত একাধিক কমিটির সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রাথমিকভাবে সবাই এসি বিস্ফোরিত হয়ে তল্লার ওই মসজিদে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করলেও পরে জানা যায় গ্যাস লিকেজের কারণেই ওই বিস্ফোরণ ঘটে।

ইতিমধ্যে মসজিদের একটি এসি খুলে দেখা হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, আগুনে এসির ওপরের কভার নষ্ট হলেও এর ভেতরের সব কিছুই ঠিক আছে। এসি বিস্ফোরণ হয়নি।

তদন্ত কমিটি কাজ করছে। বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ সব কিছুই পর্যবেক্ষণ করে দেখা হচ্ছে। গ্যাসের লাইনে লিকেজের বিষয়ে আজ মাটি খুঁড়ে দেখা হবে মসজিদের নিচ দিয়ে গ্যাসের লাইন আছে কি না।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা বলছেন, এ বিষয়ে আগভাগে কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না। সব থেকে বড় সমস্যা আহত যাদের সঙ্গে আমরা কথা বলব, তাদের অনেকেই মারা গেছেন। তবে আমরা চেষ্টা করছি প্রকৃত ঘটনা বের করতে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ফতুল্লার তল্লা চামারবাড়ি বাইতুস সালাত জামে মসজিদে ছয়টি এসির বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ জন হয়েছে।

রোববার দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন মনির ফরাজি (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।

বাইতুস সালাত জামে মসজিদ থেকে দগ্ধ অবস্থায় যে ৩৭ জনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছিল। শনিবার রাত পর্যন্ত তাদের মধ্যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

এর পর রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত মারা যান জুলহাস উদ্দিন (৩০), শামীম হাসান (৪৫), মোহাম্মদ আলী মাস্টার (৫৫) ও আবুল বাশার মোল্লা (৫১)। তাদের নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ জন হয়।

রোববার রাতে মারা যান বরিশালের বাকেরগঞ্জের বারঘড়িয়া গ্রামের সোবাহান ফরাজীর ছেলে মনির ফরাজি (৩০)। ফলে মৃতের সংখ্যা ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে