প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে অদৃশ্য ভাইরাসটিতে ৪ হাজার ৫৫২ জনের মৃত্যু হলো। একই সময়ে নতুন করে আরও এক হাজার ৮৯২ জনের শরীরে অদৃশ্য ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। আর নতুন সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ২৩৬ জন।
আজ মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৯৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এসব পরীক্ষায় এক হাজার ৮৯২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলেন তিন লাখ ২৯ হাজার ২৫১ জন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারতের পরই এখন বাংলাদেশ। উৎসস্থল চীনকে ছাড়িয়েছে দুটি দেশই। বর্তমানে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ফ্রান্স ও কানাডাকে পেছনে ফেলে ১৪তম। আর এশিয়ার ৪৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তুরস্ক ও সৌদিকে পেছনে ফেলে তৃতীয়। এর আগে রয়েছে ভারত ও ইরান।
এদিকে, দেশে করোনায় সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ২৩৬ জন। এ পর্যন্ত দুই লাখ ২৭ হাজার ৮০৯ জন মানুষ সুস্থ হলেন। আর এ সময়ের মধ্যে ৩৭ জন মারা গেছেন। এর আগে ৩০ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৬৪ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। এ নিয়ে মোট ৪ হাজার ৫৫২ জন মানুষ করোনায় প্রাণ হারালেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও জিংক-ভিটামিন সি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। করোনা মোকাবিলায় তরল খাবার, কুসুম গরম পানি ও আদা চা পান করতে হবে। সম্ভব হলে মৌসুমী ফল খাওয়া ও ফুসফুসের ব্যায়াম করা। এ সময় ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। কারণ, এটি ফুসফুসের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের করোনা আক্রান্ত মায়ের দুধপানে শিশুর করোনা আক্রান্ত হওয়ার কোনো তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পায়নি। অর্থাৎ, শিশুকে দুধপান করানো যাবে। তবে, এই সময়ে গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখার প্রতি বিশেষ আহ্বান জানানো হয়।