এমদাদুল বারীর মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি ঢাকা’র শোক

মোহাম্মদ সজিবুল হুদা

এমদাদুল বারীর মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি ঢাকা’র শোক

গণপরিষদের সাবেক সদস্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট সৈয়দ এ কে এম এমদাদুল বারীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে ঢাকায় বসবাসকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবাসীদের সংগঠন ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি, ঢাকা’।

আজ মঙ্গলবার জেলা সমিতির পক্ষ থেকে পাঠানো এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি ঢাকা-এর সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি এবং সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) মোঃ খলিলুর রহমান।

universel cardiac hospital

এদিকে সৈয়দ এ কে এম এমদাদুল বারীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, এমপি।

সোমবার এক শোকাবার্তায় আইনমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শোকাবার্তায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, তাঁর পিতা অ্যাডভোকেট সিরাজুল হকের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী ছিলেন অ্যাডভোকেট এমদাদুল বারী। তাঁরা দুজন অত্যন্ত সোহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে এলাকায় রাজনীতি করেছেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা) আসন থেকে অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য (এমএনএ) এবং অ্যাডভোকেট এমদাদুল বারী প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য (এমপিএ) নির্বাচিত হয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, গণপরিষদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এডভোকেট সৈয়দ এ.কে.এম এমদাদুল বারী (৮৮) সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি তিন মেয়ে, দুই ছেলেসহ আত্মীয়-স্বজন অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

সৈয়দ এমদাদুল বারী ব্রাহ্মণবা‌ড়িয়া জেলার বর্তমান আখাউড়া উপ‌জেলার ধরখার ইউনিয়নের রানীখার গ্রা‌মে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি বিজলা ক্যাম্পের সভাপতি ছিলেন।সৈয়দ এমদাদুল বারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্রশাসক, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি…রাজিউন)।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে