টিভি পর্দার পরিচিত মুখ অভিনেতা কে এস ফিরোজ মারা গেছেন। আজ (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা ২০ মিনিটে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে এই অভিনেতা স্ত্রী ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর বিষয়টি মত ও পথকে জানিয়েছেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘গতকাল তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকরা নিউমোনিয়া হওয়ার কথা বলেছেন। এরপর ইনজেকশন দিলে তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থান তিনি মারা গেছেন। আমার অনেক নাটকেই এই গুণী শিল্পী অভিনয় করেছেন। সকাল বেলাই এমন দুঃসংবাদ মেনে নিতে পারছি না।’
বাংলা নাটকের পাশাপাশি সিনেমাতেও ফিরোজের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য। তবে তার শুরুটা হয়েছিল মঞ্চনাটক দিয়ে। নাট্যদল ‘থিয়েটার’-এর সাথে সম্পৃক্ত হয়ে অভিনয় শুরু করেন তিনি। কাজ করেছেন ‘সাত ঘাটের কানাকড়ি’, ‘কিং লিয়ার’ ও ‘রাক্ষসী’ মঞ্চনাটকে।
কে এস ফিরোজ টেলিভিশনে প্রথম অভিনয় করেন ‘দীপ তবুও জ্বলে’ নাটকে। এতে তার বিপরীতে ছিলেন ডলি ইব্রাহীম।
বরিশালে জন্ম নেওয়া এই অভিনেতা ১৯৬৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন পদে চাকরি পান। ১৯৭৭ সালে মেজর পদে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। কে এস ফিরোজের প্রথম সিনেমা ‘লাওয়ারিশ’। আরও অভিনয় করেছেন ‘শঙ্খনাদ’, ‘বাঁশি’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’ ও ‘বৃহন্নলা’তে।