আজ রবিবার থেকে প্লেনে পাশাপাশি সিটে যাত্রী বসিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে দেশের বিমান সংস্থাগুলো। তবে সামনে ও পেছনে দুটি করে মোট চারটি সিট ফাঁকা রাখতে হবে।
মূলত কোনো যাত্রী অসুস্থতা অনুভব করলে যেন তাকে আলাদা করে সেখানে বসানো যায় সেই লক্ষ্যে চার সিট ফাঁকা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
শনিবার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) দেশের বিমান সংস্থাগুলোকে এই নির্দেশনা দেয়।
বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম শনিবার মত ও পথকে বলেন, ‘আগামীকাল থেকে বিমানের সব সিটে যাত্রী নেয়ার বিষয়টি আজই জানায় কর্তৃপক্ষ। তবে তাদের নির্দেশনা হচ্ছে, সামনে ও পেছনে চার সিট ফাঁকা রাখতে হবে।’
রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের এক কর্মকর্তাও মত ও পথকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
করোনা ভাইরাসের কারণে গত ২১ মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। তবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে গত ১ জুন থেকে সৈয়দপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটে ফ্লাইট পরিচালনা অনুমতি দেয় বেবিচক। এরপর যশোর, বরিশাল ও রাজশাহীতেও ফ্লাইট চালু করে কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে গত ১৬ মার্চ থেকে যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের অন্য সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের নিয়মিত ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে অন্যান্য দেশের সঙ্গেও ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়।
বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল হয় এমন ১৭টি দেশের মধ্যে কেবল চীনের সঙ্গেই প্যাসেঞ্জার ফ্লাইট চালু রাখা হয় সীমিত পরিসরে।
আন্তর্জাতিক রুটে নিয়মিত ফ্লাইট চলাচলে ১৫ জুন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার পর ১৬ জুন থেকে কয়েকটি রুটে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি পায় দেশের বিমান সংস্থাগুলো।
এই সময়ের মধ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বেঁধে দেয়া স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়ম মেনেই কাজ চালাতে হয় এয়ারলাইন্সগুলোকে। এরমধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল এক সিটে যাত্রী বসলে পাশের সিট খালি রাখা হতো। এ নিয়ম আজ শনিবার পর্যন্ত চালু ছিল।