টাঙ্গাইলে স্কুলশিক্ষক ও তার স্ত্রী হত্যা মামলায় ৬ জনের ফাঁসির আদেশ

আদালত প্রতিবেদক

আদালত
ফাইল ছবি

সম্পত্তির জন্য টাঙ্গাইলে অবসরপ্রাপ্ত প্রাইমারি স্কুলশিক্ষক অনিল কুমার দাস ও তার স্ত্রী কল্পনা রানীকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

universel cardiac hospital

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- অনিল কুমারের সৎ ভাই স্বপন কুমার দাস, জাহিদুল ইসলাম, ফরহাদ, মনিরুজ্জামান ভুইয়া, মঞ্জুরুল ইসলাম ও শয়ান মিয়া। এদের মধ্যে ৫ জনকে দুবার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভিকটিম অনিল কুমারের সৎ ভাই স্বপন কুমার দাস অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে যোগসাজশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য কৌশল অবলম্বন করতে থাকেন। স্বপন কুমার দাসের সঙ্গী মাদকসেবী মনিরুজ্জামান, ফরহাদ, মঞ্জুরুল, জাহিদ ও শয়ান মিয়া অনিল কুমারের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার তিনটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার পরিকল্পনা করেন।


২০১৭ সালের ২৬ জুলাই টাঙ্গাইলের রসুলপুরের বাসায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে অনিল কুমার দাস ও তার স্ত্রী কল্পনা রানীকে হত্যা করে। হত্যার পর তাদের লাশ বস্তায় ভরে বাসার বাথরুমের সেফটি ট্যাঙ্কের ভেতর ফেলে রাখে। এরপর পুলিশ এসে তাদের লাশ উদ্ধার করে

এ ঘটনায় অনিল কুমারের ছেলে নির্মল কুমার দাস বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর খানায় একটি মামলা করেন।

২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা স্বপন কুমারসহ ৬ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ৩৫ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ২৭ জন সাক্ষ্য দেন।

চার্জশিট ভুক্ত আসামিরা হলের- স্বপন কুমার দাস, জাহিদুল ইসলাম, ফরহাদ, মনিরুজ্জামান ভুইয়া, মঞ্জুরুল ইসলাম ও শয়ান মিয়া।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে