নরসিংদীর শিবপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীসহ তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বাদল মিয়া নামে এক স্বামী। এসময় আহত হয়েছেন আরও দুজন।
রবিবার ভোরে শিবপুর উপজেলার কুমরাদী গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন- কুমরাদী গ্রামের কাঠমিস্ত্রি বাদল মিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগম (৪০), বাড়ির মালিক তাজুল ইসলাম (৫৫) ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৫)।
শিবপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম মত ও পথকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা জানান, ৮/৯ বছর আগে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া এলাকার কাঠমিস্ত্রি বাদল মিয়া শিবপুরের দুলালপুর এলাকার স্বামী পরিত্যক্তা নাজমা বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তারা কুমরাদী গ্রামের তাজুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করে আসছিলেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে রবিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে স্ত্রী নাজমা বেগম ও স্বামী বাদল মিয়ার মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে স্বামী বাদল স্ত্রী নাজমা বেগম ও তার আগের সংসারের এক ছেলেকে কুপিয়ে আহত করেন। চিৎকার শুনে বাড়ি মালিক তাজুল ইসলাম, তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও মেয়ে কুলসুম বেগম এগিয়ে গেলে তাদেরকেও কুপিয়ে আহত করেন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমা ও মনোয়ারা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পথে মারা যান বাড়ি মালিক তাজুল ইসলাম।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা অভিযুক্ত স্বামী কাঠমিস্ত্রি বাদল মিয়াকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।