সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হয়েছে। তিনি ডান হাত নাড়াচাড়া করতে পারছেন। তবে তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের হাত-পা অবশ হয়ে গেছে।
রোববার ওমর আলীকে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতালে আনা হয়েছে। এ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ওয়াহিদা।
ইউএনও ওয়াহিদা খানম বর্তমানে হাসপাতালের হাইডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) নিউরো ট্রমা সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. জাহেদ হোসেনের অধীনে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা সম্পর্কে হাসপাতালটির যুগ্ম পরিচালক বদরুল আলম জানান, ওয়াহিদার শরীরের ডান দিকটা এখনও অবশ। তবে তিনি এখন ডান হাত নাড়াচাড়া করতে পারছেন। তবে তার ডান পা অবশ হয়ে আছে। ফিজিওথেরাপিতে তার ডান পা স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে ইউএনওর বাবার শারীরিক অবস্থা এখনও নাজুক বলে জানান অধ্যাপক বদরুল আলম। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ওমর আলীর শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তার চার হাত-পা অবশ হয়ে আছে। এ ছাড়া তার মেরুদণ্ডেও আঘাত রয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাসপাতালের নিউরো ট্রমা সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক আবদুস সালামকে প্রধান করে ওমর আলীর চিকিৎসায় ১২ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আজ মেডিকেল বোর্ড বসে তার চিকিৎসা নিয়ে বৈঠক করবে। ওমর আলী এখন অধ্যাপক আবদুস সালামের অধীন চিকিৎসাধীন।
২ সেপ্টেম্বর রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরের ইউএনওর সরকারি বাসভবনে ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা ও তার বাবাকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে সন্ত্রাসীরা। হামলার পর দিন ইউএনও ওয়াহিদাকে ঢাকার নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে এনে অস্ত্রোপচার করা হয়। ওমর আলী ঘাড়ে আঘাত পেয়েছেন। তার হাত ও পা অবশ। তিনি ডায়াবেটিস রোগী।