সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরনো ভবন সম্প্রসারণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এজন্য বিদ্যালয়ের জমির দলিল, নকশা, ভবন স্থাপনার অনুমোদন সংরক্ষণ করে তা আর্কাইভে (সংরক্ষণাগার) রাখা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) ওয়েবসাইটে এ আর্কাইভ যুক্ত করা হবে।
ডিপিই সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে ৬৫ হাজার ৬৫৬টি সরকারি বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রায় ২০ হাজারের বেশি বিদ্যালয় চার তলা করে নির্মাণের ফাউন্ডেশন (স্থাপনা অনুমোদন) করা হলেও সেখানে দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত ভবন করা হয়েছে। সেসব বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের অংশ হিসেবে ভবন চার তলা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কিন্তু বিচ্ছিন্নভাবে ভবনের দলিলপত্র সংরক্ষণ করায় বর্তমানে তা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বিধায় সম্প্রসারণের কাজও সহসা শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই পুরনো সব ভবন নির্মাণের চুক্তিপত্রসহ দলিল সংরক্ষণ করতে একটি আর্কাইভ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
সূত্রটি বলছে, আর্কাইভ তৈরির পর দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের দলিলপত্র সংগ্রহ করে তা সংরক্ষণ করা হবে। সেটি ডিপিই’র ওয়েবসাইটে রাখা হবে। ভবন সম্প্রসারণ বা নতুন করে ভবন তৈরির সময় অনলাইনের মাধ্যমে ওয়েবসাইট থেকে ওই দলিলপত্র সংগ্রহ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিপিই’র মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, দেশের অনেক জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার তলা ফাউন্ডেশন অনুমোদন থাকলেও সেখানে দোতলা ভবন করে পাঠদান পরিচালনা করা হচ্ছে। সেসব ভবন চার তলা করতে চাইলেও প্রয়োজনীয় দলিলপত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এসব স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করতে একটি আর্কাইভ তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন করে একটি ভবন নির্মাণ করতে গেলে অনেক অর্থ ও সময় ব্যয় হয়ে থাকে বিধায় পুরনো ভবনগুলো সম্প্রসারণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ কারণে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র অনুসন্ধান করা হচ্ছে। কাগজ পাওয়ার পর সেসব ভবন চার তলা করা হবে।