জরুরি প্রয়োজনে, বিশেষ করে বয়স্ক ও কর্মস্থলে উচ্চঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে এমন মানুষের জন্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে ভারত। দৈনিক করোনা সংক্রমণের বিশ্বরেকর্ড ছাড়াও আশঙ্কাজনক হারে ভাইরাসটির সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কথা বিবেচনা করে এমন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
চলতি মাসে প্রতিদিন করোনায় সহস্রাধিক মৃত্যু হয়েছে ভারতে। এ পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত ৪৭ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষের মধ্যে ৭৮ হাজার ৫৮৬ জন মারা গেছেন। ভারতের চেয়ে বেশি কোভিড-১৯ আক্রান্ত রয়েছে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে। তবে আগস্টের মাঝামাঝি থেকে ভারতের করোনার সংক্রমণ যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেছেন, ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জরুরি অনুমোদন দেয়ার কথা বিবেচনা করছে ভারত। যদি এতে সংখ্যাগরিষ্ঠের মত খাকে তাহলে বিশেষ করে বয়স্ক নাগরিক এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে কাজ করেন এমন ব্যক্তিদের জন্য তার শুরু হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জরুরি অনুমোদন দেয়ার মাধ্যমে ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের সময় আরও কমিয়ে দেয়া হতে পারে কিন্তু ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের কোনো অংশই বাদ দেয়া হবে না। এ ছাড়া যখন নিশ্চিত হওয়া যাবে যে একটি ভ্যাকসিন নিরাপদ এবং কার্যকর, শুধু তখনই তার অনুমোদন দেবে সরকার।’
কবে ভ্যাকসিন আসবে তার দিনক্ষণ ঠিক করা না হলেও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফল অবশ্যই ২০২১ সালের প্রথম তিন মাসের মধ্যে নিশ্চিত হওয়া উচিত বলে জানান তিনি। হর্ষবর্ধন বলেন, ‘ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের ভ্যাকসিন সরবরাহে বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি একটি ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞ দল প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার।’
রোরবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নতুন করে আরও ৯৪ হাজার ৩৭২ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত মানুষ শনাক্ত এবং এক হাজার ১১৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানোর পর দেশটির স্বাস্থমন্ত্রী এমন তথ্য জানান।
এপ্রিল-জুনে দেশের অর্থনীতি রেকর্ড ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ সংকুচিত হওয়ায় তার গতি ফেরাতে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও অর্থনীতি সচল করে ভারত সরকার। কিন্তু এখন এ নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।