দলের কঠিন মুহূর্তে রোববার আরও একবার হাল ধরলেন ৩২ বছর বয়সী তারকা লেগ স্পিনার আদিল রশিদ। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন পেস বোলার টম কারান।
২৫ বছর বয়সী এ তরুণকে নিয়ে নবম উইকেটে ৭৬ রানের জুটি গড়েন আদিল রশিদ। শেষ চার ওভারে ৫৩ রান তোলে ইংল্যান্ড।
আদিল রশিদ (৩৫*) ও টম কারানের (৩৭) ৭৬ রানের মহামূল্যবান জুটি ইংল্যান্ডকে ১৪৯/৮ থেকে ২৩১/৯-এ পৌঁছে দেয়।
রোববার ম্যানচেস্টারে দ্বিতীয় দিবা-রাত্রির ম্যাচে টসজয়ী ইংল্যান্ড ব্যাট করতে নেমে বিপদে পড়ে গিয়েছিল। ২৯ রানে ২ উইকেট হারানোর মধ্য দিয়ে তাদের বিপর্যয়ের শুরু। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪২ রান করে অধিনায়ক এউইন মরগান (৪২) আউট হন দলকে ১১৭/৫-এ রেখে।
অপরদিকে ঠিক উল্টোটাই ঘটেছে অস্ট্রেলীয় দলে।
১৪৪ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে অসিদের। তৃতীয় উইকেট জুটিতে অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ও মার্নাস লাবুশানের ১০৭ রানের জুটি স্বপ্ন দেখায় অস্ট্রেলিয়াকে।
ধারণা করা হচ্ছিল, সহজ লক্ষ্যের দিকে ভালোভাবে এগোচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু হঠাৎই ভয়াবহ ব্যাটিং ধস দেখা যায়। শেষ ৬৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকেই ছিটকে যায় দলটি।
১০৫ বলে ৮ চার ও একটি ছক্কায় ৭৩ রান করে ওকসের বলে বোল্ড হন ফিঞ্চ। ওকসের বলে ব্যক্তিগত ৪৮ রানে আউট হন লাবুশানে। এই দুই ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরার পর অসিদের আর কেউ উইকেটে থিতু হতে পারেননি।
উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারির ৩৬ রানই ছিল উল্লেখ করার মতো। বাকিরা সব দ্রুত আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন।
ইংলিশ বোলারদের মধ্যে ওকস, আর্চার ও স্যাম কারান ৩টি করে উইকেট লাভ করেন। আদিল রশিদ পান একটি উইকেট।
ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ৪৮.৪ ওভারে ২০৭ রানে গুটিয়ে যান সফরকারীরা।
ফল ২৪ রানের জয় পায় ইংল্যান্ড। এ জয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফিরল এউইন মরগানের দল।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে হেরে যাওয়া ইংল্যান্ডের সামনে সমীকরণ ছিল স্পষ্ট। হারলেই ট্রফি হাতছাড়া।
এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচে মাত্র ২৯ রানে দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্ট্রো ও জেসন রয়ের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েন ইংলিশরা।
তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক এউইন মরগানকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন জো রুট। এই জুটিতে তারা যোগ করেন ৬১ রান। এর পর ৫৯ রানের ব্যবধানে ইংল্যান্ড হারায় ৬ উইকেট। ৭৩ বলে ৩৯ রানে ফেরেন রুট। জস বাটলার ফেরেন মাত্র ৩ রানে। ৫২ বলে ৪২ রান করে আউট হন মরগান। প্রথম ম্যাচে ১১৮ রান করা সেম বিলিংস এদিন ফেরেন মাত্র ৮ রানে। ১ রানে আউট সেম কারান।
এর পর শুরু হয় আদিল রশিদ ও টম কারানের ব্যাটের লড়াই। তাদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়েই ১৪৯ রানে ৮ উইকেট হারানো ইংল্যান্ড শেষ পর্যন্ত ২৩১ রান তুলতে সক্ষম হয়।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন অ্যাডাম জাম্পা। ২ উইকেট শিকার করেন মিসেল স্টার্ক।