পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত, নাব্য সঙ্কট ও শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফের চলাচল বন্ধ হওয়ার কারণে যানবাহনের দ্বিগুণ চাপ বেড়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে।
মঙ্গলবার সকালে দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে সড়কে দুই শতাধিক বাস ও অন্যান্য ছোট গাড়ি নদী পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে থাকতে দেখা গেছে। তবে অ্যাম্বুলেন্স, যাত্রীবাহী বাসসহ ছোট যানবাহনগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে। আর ঘাটে যানজট এড়াতে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া সড়কের গোয়ালন্দ মোড়ে প্রায় তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক গত দুই থেকে তিন দিন ধরে সিরিয়ালে আটকে রেখেছে রাজবাড়ী পুলিশ।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরি পার হতে না পেরে দৌলতদিয়ার মহাসড়কে যানজটে আটকে থেকে বিভিন্ন সমস্যায় রয়েছেন এসব যানে থাকা মানুষ। খাবার ও রাত যাপনসহ নানা সমস্যায় পড়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের চাপ আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যানবাহন চালকরা শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ফেরিগুলো দৌলতদিয়ায় এনে দ্রুত গাড়ি পার করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
ট্রাক চালকরা জানান, দিনের পর দিন তারা সড়কে আটকে আছেন। গোসল, খাওয়া-দাওয়াসহ নানা সমস্যা পোহাতে হচ্ছে।
বিআইডাব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক মাহাবুব হোসেন মত ও পথকে জানান, পাটুরিয়া প্রান্তে ড্রেজিং কার্যক্রম চলা ও পদ্মায় স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফের ফেরি বন্ধ হওয়ায় ওই যানবাহনের চাপ এখানো বেড়েছে। যার ফলে ঘাট এলাকায় দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ সারি হচ্ছে। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুট সচল হলে যানবাহনের চাপ অনেক কমে যাবে। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে।
মাহাবুব হোসেন আরও জানান, বর্তমানে এ রুটে ছোট গাড়ি পারাপারের সংখ্যা বেড়েছে। এখন সব মিলিয়ে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার যানবাহন এ রুট দিয়ে নদী পারাপার হচ্ছে।