অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলসহ নয়জনের বিচার শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর)। তার কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে কুয়েতের দুজন সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকেও।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কুয়েতের পাবলিক প্রসিউকিশনের বরাতে আরবি দৈনিক আল-কাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার, ঘুষ দেওয়া এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় হুমকির অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সংসদ সদস্য সাদুন হাম্মাদ আল-ওতাইবি, সালাহ আবদুলরেদা খুরশিদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক অ্যাসিসট্যান্ট আন্ডার সেক্রেটারি বরখাস্ত মেজর জেনারেল মাজেন আল-জাররাহ।
গত ৬ জুন রাতে মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলকে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন। ১৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর এখন তাকে রাখা হয়েছে কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে।
কুয়েতি কর্মকর্তাদের কীভাবে কত টাকা ঘুষ দিয়েছেন, সে বিষয়ে রিমান্ডে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন সাংসদ পাপুল।
আল-কাবাসের এক খবরে বলা হয়, মামলার তদন্তের সময় অভিযুক্ত হিসাবে ১৩ জনের নাম উঠে আসে। এর মধ্যে থেকে চারজনকে তদন্তকালে বাদ দেওয়া হয়।
অভিযুক্তদের মধ্যে এমপি পাপুলসহ ছয়জন কারাগারে আছেন। জামিনে রয়েছেন দুই কুয়েতি এমপি এবং একজন পলাতক।
সাধারণ শ্রমিক হিসাবে কুয়েত গিয়ে বিশাল সাম্রাজ্য গড়া পাপুল ২০১৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তার স্ত্রীও সংসদ সদস্য হন।
গত ২২ জুলাই তার স্ত্রী স্বতন্ত্র সাংসদ সেলিনা ইসলাম বলেছিলেন, কুয়েতে পাপুলের প্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করে। সেই প্রতিষ্ঠানে কাজ করে দেশের বহু শ্রমিক কোটি কোটি টাকার রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে। সেখানে একটি পক্ষের ষড়যন্ত্রের শিকার পাপুল। আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এসব করা হচ্ছে।