বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
মামলার ধার্য তারিখ থাকায় বুধবার সকাল নয়টার দিকে বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের সঙ্গে আদালতে উপস্থিত হন আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। কড়া নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয় মামলায় কারাগারে থাকা প্রাপ্তবয়স্ক আট আসামিকেও। পুলিশি কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় আদালত প্রাঙ্গণজুড়ে। আদালতে আসা সকল বিচারপ্রার্থীকে তল্লাশি করে ঢোকানো হয় আদালতে।
এদিন উচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে থাকা নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আবার তার জামিনের আবেদন করার কথা সাংবাদিকদের জানান মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম।
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়।
গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দু’ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়। মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক।
গত ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি থেকে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করে আদালত। মামলাটিতে মোট ৭৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন, রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, মো. মুসা, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।