অস্ত্র মামলায় সাহেদের যাবজ্জীবন চায় রাষ্ট্রপক্ষ

মত ও পথ প্রতিবেদক

ঢাকায় আনা হয়েছে সাহেদকে
ছবি : সংগৃহিত

অস্ত্র আইনের এক মামলায় বিতর্কিত ব্যবসায়ী রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রত্যাশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করে রাষ্ট্রপক্ষ। যুক্তি উপস্থাপনে সাহেদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রত্যাশা করেন ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু।

universel cardiac hospital

জালিয়াতি আর প্রতারণায় আলোচিত সাহেদ গত ১৫ জুলাই গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে অনেকগুলি মামলা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে অস্ত্র আইনের এই মামলায় প্রথম তার বিচার শুরু হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে সাহেদের আইনজীবীও যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। এ দিন সাহেদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় রবিবার পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।

করোনায় নানা প্রতারণার অভিযোগ গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়। পরদিন করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্টসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

রিজেন্ট হাসপাতালে কোভিড-১৯ পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় গোয়েন্দা পুলিশের রিমান্ডে থাকার সময় ১৮ জুলাই রাতে সাহেদকে নিয়ে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে তার একটি গাড়ি থেকে গুলিসহ একটি পিস্তল এবং কিছু মাদক জব্দ করা হয়।

অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক এস এম গাফফারুল আলম বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন।

৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালতে সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. শায়রুল। সেখানে রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১৪ জনকে সাক্ষী করা হয়। মামলায় এসব সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।

অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় দায়ের করা এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সবোর্চ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

গতকাল বুধবার অস্ত্র আইনে করা মামলায় নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন সাহেদ করিম। আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে এ দাবি করেন তিনি। এ সময় আদালত তাকে সাফাই সাক্ষী দিবেন কি না- এমন প্রশ্ন করলে সাহেদ বলেন, ‘আমি সাফাই সাক্ষী দিব না’। এরপর আদালত রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে