নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিতাস গ্যাসের বরখাস্ত হওয়া ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ শনিবার দুপুরে তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির মিডিয়া শাখার সিনিয়র পুলিশ সুপার জিসানুল হক। তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকার মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে তিতাসের বরখাস্তকৃত আট কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন প্রকৌশলী ও চারজন কর্মকর্তা রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারে নারায়ণগঞ্জ আদালত থেকে অনুমতি নেয়া হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- তিতাস ফতুল্লা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান রাব্বী, সহকারী প্রকৌশলী এস এম হাসান শাহরিয়ার, সহকারী প্রকৌশলী মানিক মিয়া, সিনিয়র সুপারভাইজার মো. মনিবুর রহমান চৌধুরী, সিনিয়র উন্নয়নকারী মো. আইউব আলী, সাহায্যকারী মো. হানিফ মিয়া এবং কর্মী মো. ইসমাইল প্রধান।
- আরও পড়ুন >> সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে বিজিবি-বিএসএফ একমত
- আরও পড়ুন >>ভারতের ‘মোহ’ কাটিয়ে চীন ঘেঁষছে বাংলাদেশ: দ্য ইকোনমিস্ট
বিস্ফোরণের ঘটনার পরদিন সকালে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলী মো. আল মামুন।
বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে গত ৭ সেপ্টেম্বর ওই ৮ জনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়।
মসজিদে বিস্ফোরণের পরে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, মসজিদে গ্যাসের লিকেজের সমস্যা সমাধানের জন্য বারবার তিতাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা আসেনি। এমনকি লিকেজ বন্ধ করতে মসজিদ কমিটির কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ করেছেন মসজিদ কমিটি।
গত ৪ সেপ্টেম্বর ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজের সময় বিস্ফোরণে ৩৭ জন দগ্ধ হয়েছিলেন। তিতাসের পাইপলাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস মসজিদের বদ্ধ ঘরে জমে এই বিস্ফোরণ ঘটে বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে এর মধ্যে একে একে ৩২ জনের মৃত্যু ঘটেছে। একজন শুধু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।