দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সীমিত পরিসরে চালু করা হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নতুন চায়না চ্যানেল দিয়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে কাঁঠালবাড়ীর উদ্দেশে একটি ফেরি ছেড়ে যায়। এর আগে গত শুক্রবার পরীক্ষামূলকভাবে এই চ্যানেল দিয়ে ফেরি চলাচল শুরু করা হলেও তা আবার বন্ধ হয়ে যায়।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) হেলাল উদ্দিন জানান, ছোট ও মাঝারি টাইপের ৪ থেকে ৫টি ছোট ফেরির সাহায্যে ফেরি সার্ভিস সীমিত পরিসরে সচল করা হয়েছে। তবে রো রো ফেরিগুলো এখনও চালু করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, কোনো বাধা বা সমস্যা সম্মুখীন না হয়েই নতুন চায়না চ্যানেল দিয়ে কাঁঠালবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা একটি ফেরি যানবাহন নিয়ে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শিমুলিয়া ঘাঠে পৌঁছায়। চ্যানেলটি স্বাভাবিক থাকায় বিআইডব্লিউটিসি সকাল সাড়ে ৭টায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে ফেরি ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেন।
এদিকে ফেরি সার্ভিস বারবার বিপর্যয়ের কারণে বর্তমানে ঘাট এলাকায় তেমন যানবাহন নেই বললেই চলে।
উল্লেখ্য, নদী ভাঙন আর নাব্য সংকটের কারণে এই রুটের ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হয়। গত ২৮ জুলাই প্রথম শিমুলিয়া ৩নং রো রো ফেরি ঘাটের অ্যাপ্রোচ রোডসহ বেশকিছু স্থাপনা নিয়ে পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়। এর ৯ দিনের মাথায় ৬ আগস্ট দ্বীতিয়বার ভাঙন দেখা দেয় ভিআইপি ঘাট নামে পরিচিত ৪নং ফেরি ঘাটে। পরবর্তী ১২ দিন পর রো রো ঘাট সংস্কার করে ফেরি চলাচল শুরু করা হয়।
এরপর গত গত ৩ সেপ্টেম্বর নাব্য সংকটের কারণে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়া হয় ফেরি সার্ভিস। এরপর বেশ কিছুদিন ড্রেজিং করে সচল করা হয় ফেরি চলাচলের লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের চ্যানেলটি।
৮ দিন পর ১১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে পরীক্ষামূলকভাবে তিনটি ফেরি কাঁঠালবাড়ীর উদ্দেশে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যায়। শনিবার পর্যন্ত ১ ও ২ নম্বর ঘাট দিয়ে কে টাইপ ও মিডিয়াম টাইপের ৪টি ফেরির মাধ্যমে যানবাহন পারাপার করছিল ফেরিগুলো।
>> এসএলসির সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে বিসিবি
এরপর গত শুক্রবার ১১ সেপ্টেম্বর রাতে তৃতীয় দফা ভাঙনের মুখে পড়ে ফেরি সার্ভিস। এবার ৩নং রো রো ফেরি ঘাট সংলগ্ন প্রায় ১০ একর ভূমি ও বিভিন্ন স্থাপনা নিয়ে পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়। এতে হুমকির মুখে পড়ে রো রো ঘাট। ১৩ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুর ১২টার দিকে আবারও নাব্য সংকটের কারণে শিমুলিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত ১৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার পালেরচর নামের চ্যানেল দিয়ে ফেরি সার্ভিস শুরু করা হয়। এরপর আবারও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিসি। পরে পদ্মা সেতুর ২৫ নম্বর পিলার সংলগ্ন নতুন চ্যানেল চায়না চ্যানেলের খননের কাজ শুরু হয়।