করোনাভাইরাসের কারণে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের ভার্চুয়াল বৈঠকে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেবেন।
আজ সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মূল বক্তব্য দেবেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা বিষয়সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। বক্তব্যে কোভিড-১৯, রোহিঙ্গা, জলবায়ু পরিবর্তন, লিঙ্গবৈষম্য হ্রাস, অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী ১ অক্টোবর পর্যন্ত মোট সাতটি অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে অংশ নেবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯, রোহিঙ্গা, জলবায়ু পরিবর্তন, লিঙ্গবৈষম্য হ্রাস, অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলবেন।
তিনি বলেন, এবারের অধিবেশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী একদিকে যেমন কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত নানাবিধ পদক্ষেপের বিষয়ে আলোকপাত করতে পারবেন, তেমনি এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সাফল্য ও অগ্রগতি, নারী উন্নয়ন ও নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অনুসরণীয় কার্যক্রম, দারিদ্র্য বিমোচনে গৃহীত নানাবিধ পদক্ষেপ, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ দমন ও মাদকের বিস্তার রোধ, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, গণতন্ত্র ও সুশাসনের ধারা অব্যাহত রাখা সর্বোপরি বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের অবদানের বিষয়ে বিশ্ববাসীকে অবহিত করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও জাতিসংঘের অধিবেশনে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সমস্যাটি তুলে ধরবে। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে আইসিজেতে চলমান মামলা এবং আইসিসিতে রোহিঙ্গা নির্যাতনে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চলমান আইনি প্রক্রিয়ার কারণে এবারের অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যা আগের বছরগুলোর মতোই গুরুত্ব সহকারে আলোচিত হবে।