ভিয়েতনাম ও কাতার থেকে দেশে ফেরত আসা মোট ৮৩ জন শ্রমিককে কেন মুক্তি দিতে নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন রিগ্যান। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. ইকবাল হোসেন।
এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ভিয়েতনাম ফেরত ৮১ জন এবং কাতার ফেরত দুইজনসহ মোট ৮৩ জন শ্রমিকের মুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান।
গত ১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষে গ্রেফতার হওয়া ভিয়েতনাম ফেরত ৮১ জন এবং কাতার ফেরত দুইজনসহ মোট ৮৩ জন শ্রমিককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত সিকদার তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ওইদিন সকালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষে তাদের গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। তুরাগ থানার ওসি নূরুল মোত্তাকীন ওইদিন বলেছিলেন, এসব প্রবাসী সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে গিয়ে অপরাধে জড়িয়েছিলেন। সে জন্য সেখানে তারা গ্রেফতার হন। করোনার কারণে তাদের বাংলাদেশে আটক অবস্থায় ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এ জন্য চাইলেই পুলিশ তাদের ছেড়ে দিতে পারে না।