অপ্রয়োজনীয় রাস্তা না করতে নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

দেশে অপ্রয়োজনীয় রাস্তা নির্মাণ এবং প্রশস্ত না করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে জমি নষ্ট হয় বলে মনে করেন সরকারপ্রধান। এজন্য যেসব রাস্তা আছে সেগুলো সংস্কারের প্রতি তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অপ্রয়োজনীয় রাস্তা নির্মাণ না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, নিজের বাড়ির সামনে অপ্রয়োজনীয়ভাবে রাস্তা নির্মাণ বা প্রশস্তকরণ করার মানসিকতা বাদ দিতে হবে। কৃষিজমি রক্ষায় নতুন রাস্তার চেয়ে বিদ্যমান রাস্তা সংস্কারে জোর দিতে হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রথম মন্তব্য ছিল জামালপুরের সড়ক নিয়ে। সড়ক নির্মাণ ভালো। মেনটেন্যান্স আরও ভালো। তিনি বলেছেন, একটা ভারসাম্য তৈরি করতে হবে। শুধু নির্মাণ করলে হবে না। আমাদের আর্থিক সক্ষমতা, টেকনিক্যাল সক্ষমতারও মাপজোখ রাখতে হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, যাদের অল্প জমি রয়েছে এবং সেই জমিতে বাড়িঘর করে থাকছে, সেসব জমি অধিগ্রহণ থেকে যতটা সম্ভব বিরত থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

এছাড়া ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে খাঁচায় অন্যান্য মাছচাষের জন্য প্রশিক্ষণের তাগিদও দিয়েছেন সরকারপ্রধান।

দেশে ফেরা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার নির্দেশ

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ৪০টি উপজেলায় ৪০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও চট্টগ্রামে একটি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি স্থাপন প্রকল্প’ অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু দেশেই নয় বিদেশ থেকে ফিরে যারা এসেছে কোভিটের জন্য বা অন্য কারণে তাদেরকেও ট্রেনিং দেন। যাতে করে তারা আবার ফিরে যেতে পারে। তারা যেন মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে আবার ফিরতে পারে।

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ‘৪০টি উপজেলায় ৪০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও চট্টগ্রামে একটি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি স্থাপন (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্প। এতে খরচ হচ্ছে ৩৩৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

এম এ মান্নান বলেন, আমদের সরকারের সিদ্ধান্ত আছে সকল উপজেলায় টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট করতে হবে। পর্যায়ক্রমে এটা করা হবে। আমাদের বহু লোক বিদেশে কাজ করে। আমাদের অন্যতম প্রধান বৈদেশিক আয়ের উৎস প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ। প্রশিক্ষণ নিয়ে গেলে বিদেশ তারা কাজ পাবে। মধ্যমানের টেকনিক্যাল লোক তৈরি হবে আমাদের। এটা করবে আমাদের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণায়লয়।

আজকের বৈঠকে ইলিশসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পসহ পাঁচটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এসব প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ২৬৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে চারটি নতুন প্রকল্প এবং একটি সংশোধিত প্রকল্প।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে