দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যাও ছাড়িয়েছে সাড়ে তিন লাখ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২৮ জনের মৃত্যু হওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭ জনে। একই সময়ে নতুন করে এক হাজার ৫৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ৫২ হাজার ১৭৮ জনে।
আজ মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘন্টায় ১৪ হাজার ১৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ৫৫৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকালের চেয়ে আজ ১৪৮ জন কম শনাক্ত হয়েছেন। গতকাল ১৩ হাজার ৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিল এক হাজার ৭০৫ জন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৭৩ জন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থের সংখ্যা দুই লাখ ৬০ হাজার ৭৯০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৭ জন এবং নারী ১১ জন। তারা সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা নমুনার ১০ দশমিক ৯৯ শতাংশের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত পরীক্ষা করা নমুনার মধ্যে ১৯ দশমিক ০৫ শতাংশের মধ্যে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে তিন কোটি ১৩ লাখ ২২ হাজার ৩১৪ জন। বিশ্বে করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যু হয়েছে নয় লাখ ৬৪ হাজার ৭৬৫ জনের।
সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত এবং মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫ তম।
গত বছরের শেষের দিকে চীনের উহান শহরে প্রথমে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এর দুই মাসেরও বেশি সময় পর মার্চের ৮ তারিখে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।
শুরুর দিকে সংক্রমণ ধীরগতিতে থাকলেও মে মাসের মাঝামাঝি থেকে পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। জুনে তা তীব্র আকার নেয়। জুলাইয়ের শুরু থেকে নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যা কমতে থাকে। এ সময় পরীক্ষাও কম হয়। অবশ্য গত আগস্ট থেকে নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যার পাশাপাশি সংক্রমণ শনাক্তের হারও কমতে থাকে।