প্রকল্পের পণ্য-দ্রব্যের ক্ষেত্রে যাতে অস্বাভাবিক বাজার মূল্য দেখানো না হয়, সে জন্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে প্রকল্প যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সচেতন থাকার নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিবদের কাছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও অধীন সংস্থাগুলোর বিভিন্ন প্রকল্পের পণ্য-দ্রব্যের অতিরিক্ত ব্যয়ের বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে, যা সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলছে। সেই প্রেক্ষাপটে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ নির্দেশনা এলো।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়, মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোর বাজেটে সংশ্লিষ্ট অর্থবছরে প্রকল্প গ্রহণের জন্য ‘অননুমোদিত প্রকল্পের জন্য সংরক্ষিত-সাধারণত থোক বরাদ্দ’ খাতে এবং প্রক্ষেপণের অর্থবছরে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হয়। লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ তাদের মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর আওতায় সংশ্লিষ্ট অর্থবছরসমূহে সিলিং (ব্যয়সীমা) বহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ করছে। ফলে সরকারের রাজস্ব আয়ের সঙ্গে চলমান প্রকল্পের বরাদ্দ সামঞ্জস্যতা থাকছে না। এছাড়া সিলিংবহির্ভূত প্রকল্প গ্রহণ করায় সব প্রকল্পে প্রয়োজন অনুযায়ী বরাদ্দ প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, প্রাক্কলন ও প্রক্ষেপণের বাইরে প্রকল্প গ্রহণ সরকারের সুষ্ঠু আর্থিক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
এমতাবস্থায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোকে ছয়টি বিষয়ে সজাগ থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
১. মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোকে তাদের মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর আওতায় প্রাক্কলন ও প্রক্ষেপণের অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত সিলিংয়ের মধ্যে থেকে প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
২. বিনিয়োগ প্রকল্পের ক্ষেত্রে ৫০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বের প্রকল্পে আবশ্যিকভাবে বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে।
৩. প্রকল্প যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অধিকতর সচেতনতা অবলম্বন করা, যাতে কোনো পণ্য-দ্রব্যের অস্বাভাবিক বাজারমূল্য প্রদর্শিত না হয়।
৪. জি-টু-জি (সরকার-টু-সরকার) ভিত্তিতে গৃহীত প্রকল্পে জিওবি অর্থে পরামর্শক নিয়োগের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৫. প্রকল্প বাছাই/অনুমোদনের সময় বিষয়গুলোতে অধিকতর সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।
৬. রাষ্ট্রীয় ও জনগুরুত্বপূর্ণ বিশেষ প্রকল্পের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হলে আগেই অর্থ বিভাগের সম্মতি গ্রহণ করতে হবে।