করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর তিন ধাপে ওমরাহ চালুর ঘোষণা দিয়েছেন সৌদি আরব। দেশটির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই ঘোষণায় জানিয়েছে, প্রথম ধাপে কেবল সৌদি আরবের বাসিন্দারা ওমরায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। এরপর ধাপে ধাপে অন্যান্য দেশের জন্যও ওমরাহ চালু হবে। খবর আরব নিউজের।
হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী মুহাম্মাদ সালেহ বেনতিন বলেন, ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিশ্চয়তা সৌদি আরব সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। তাই ধীরে ধীরে তিন ধাপে হজ কার্যক্রম আবার শুরু করা নিয়ে কাজ করছে মন্ত্রণালয়।’
বেনতিন বলেন, ‘প্রথম পর্যায়ে সৌদি আরবের স্থানীয় নাগরিক ও প্রবাসীরা ওমরায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। ওমরাহ সেবা স্বাভাবিক ধারণক্ষমতার ৪০ ভাগ থাকবে। দ্বিতীয় ধাপে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৭৫ ভাগ হবে। আর সর্বশেষে কার্যক্রম পুরোপুরি চালু হবে এবং সৌদি আরবে বাইরে থেকেও সবাই ওমরাহ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে। তবে সর্বাবস্থায় স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে।’
হজ ও ওমরাহ বিষয়ক উপমন্ত্রী আবদুল ফাত্তাহ মাশাত বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন, ওমরাহ কার্যক্রম পরিচালনা ও ওমরায় অংশগ্রহণকারীদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে একটি ফোরাম গঠন করা হয়। এ ছাড়া পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ওমরাহযাত্রীদের মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’
সৌদির ওমরাহ চালুর ধাপগুলো হলো-
১ম ধাপ: ৪ অক্টোবর হতে শুধু সৌদির অভ্যন্তরে বসবাসরত সৌদি নাগরিক এবং বিদেশিরা মোট ধারণক্ষমতার ৩০% হারে (দৈনিক প্রায় ছয় হাজার) ওমরাহ পালন করতে পারবে।
২য় ধাপ: ১৮ অক্টোবর হতে শুধু সৌদির অভ্যন্তরে বসবাসরত সৌদি নাগরিক এবং বিদেশিরা মোট ধারণক্ষমতার ৭৫% হারে (দৈনিক প্রায় পনের হাজার ওমরাহকারী, ৪০ হাজার নামাজ আদায়কারী) মসজিদুল হারামে ওমরাহ ও নামাজ আদায় এবং মসজিদে নববীতে জিয়ারাহ করতে পারবে।
৩য় ধাপঃ ১ নভেম্বর হতে সৌদির অভ্যন্তরের এবং বাইরের সৌদি নাগরিক ও বিদেশিরা মোট ধারণক্ষমতার ১০০% হারে (দৈনিক প্রায় বিশ হাজার ওমরাহকারী, ৬০ হাজার নামাজ আদায়কারী) মসজিদুল হারামে ওমরাহ ও নামাজ আদায় এবং মসজিদে নববীতে জিয়ারাহ করতে পারবে। করোনা শেষ হয়েছে এই ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এভাবে চলবে।
করোনার বিপদ শেষ হয়েছে মর্মে ঘোষণা দেয়ার পর সৌদির অভ্যন্তরের এবং বাইরের সৌদি নাগরিক ও বিদেশিরা সকলেই স্বাভাবিক সময়ের ন্যায় ওমরাহ এবং যিয়ারাহ করতে পারবে।