জাতীয় সংসদ মূল নকশায় ফেরানোর কাজ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদ
ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদ ভবনকে বিশ্বখ্যাত স্থপতি লুই আই কান প্রণীত মূল নকশায় ফেরানোর কাজ শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় সংসদ ভবন, সংসদ সদস্য ভবনসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণ ও আধুনিকায়ন নামের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। ২৩৪ কোটি টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জাতীয় সংসদ ভবন ও সংসদ সদস্য ভবনের আধুনিকায়নের পাশাপাশি মূল নকশার বাইরে হওয়া রুম ও সাজসজ্জা অপসারণে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, গত মাসে জাতীয় সংসদে জাতীয় সংসদ ভবনে স্থাপত্যসংক্রান্ত বিষয়াদি পর্যালোচনা শীর্ষক এক সভায় স্থপতি লুই কানের মূল নকশা নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে সংসদের মূল ভবনে বেশ কিছু নকশাবহির্ভূত রুম ও সাজসজ্জা চিহ্নিত করে তা অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে  স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সংসদ ভবনের স্থাপত্যশৈলী আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন। তাই সংসদ ভবনের সার্বিক রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের ক্ষেত্রে যত্নশীল হতে হবে। এ বিষয়ে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও নির্দেশনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মূল নকশা সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন লুই আই কানের মূল নকশা অনুসরণ করে সংসদ ভবনের সংস্কারকাজ সম্পন্ন করা হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র থেকে সংসদ ভবন এলাকার মূল নকশার কপি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে পৌঁছায়। এর আগে ২০১৪ সালে সংসদ ভবনের মূল নকশা আনার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। সে অনুযায়ী সংসদ সচিবালয় লুই কানের প্রতিষ্ঠান ডেভিড অ্যান্ড উইজডমের সঙ্গে যোগাযোগ করে চার সেট নকশা সংগ্রহ করে। এর দুটি জাতীয় সংসদে এবং একটি করে সেট স্থাপত্য অধিদপ্তর ও ন্যাশনাল আর্কাইভে রাখা হয়েছে।

গণপূর্ত অধিদপ্তর জানায়, লুই কানের নকশা অনুযায়ী সংসদ ভবন এলাকাকে সাজানোর লক্ষ্যে গত অর্থবছরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২৩৪ কোটি টাকার প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আওতায় ভবনের ভেতর আধুনিকীকরণ ও বৈদ্যুতিক কাজও করা হবে। এ ছাড়া গণপূর্ত কর্মচারী ও সংসদ ভবনের নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য মনিপুরীপাড়ায় খেজুরবাগানসংলগ্ন এলাকায় ৯ তলার দুটি ভবন নির্মাণ করা হবে।

লুই কানের নকশায় নির্মিত এই ভবনে সংসদের অধিবেশন শুরু হয় ১৯৮২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। এর আগে একই বছরের ২৮ জানুয়ারি নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়। ১৯৬৪ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে