অষ্টমে অটোপাস নয়, বিদ্যালয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে মূল্যায়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

জেএসসি পরীক্ষা
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের প্রভাবে এ বছর অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল হলেও শিক্ষার্থীদের অটোপাস বা অটোপ্রমোশনের দিকে যাচ্ছে না সরকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব পদ্ধতিতে মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ করতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। তবে অষ্টম শ্রেণিতে সিলেবাসের যে অংশটুকু পড়ানো সম্ভব হবে না তার প্রয়োজনীয় অংশটুকু নবম শ্রেণিতে পড়ানো হবে। এ লক্ষ্যে নির্দেশনা পাঠানো হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। সিলেবাসের কতটুকু বা কোনো অংশ পড়ানো হবে সেটি নির্ধারণে বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিটকে (বেডু) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভায় শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানরা এসব সিদ্ধান্ত নেন।

universel cardiac hospital

এছাড়া এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে তেমন আলোচনা না হলেও শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা জানিয়েছেন, ১৫ দিন সময় পেলেই তারা এইচএসসি পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত। তবে এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা হয়নি। এ বছরের জেএসসি পরীক্ষার্থীদের নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে যে, স্কুলগুলো নিজেরা মূল্যায়ন করে উত্তীর্ণ করতে পারবে। পরীক্ষা আমরা নিতে পারব কিনা এখনও জানি না। তবে স্কুলগুলো নিজস্ব পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করবে। এ বছর আড়াই মাস ক্লাস হয়েছে। এর বাইরে সংসদ টেলিভিশন ও অনলাইনে ক্লাস হয়েছে। যে প্রতিষ্ঠান যতটুকু পড়াতে পেরেছে, ততটুকুর ভিত্তিতে মূল্যায়ণ হবে। এ ব্যাপারে শিগগিরই আমরা একটা গাইডলাইন দেব।

তিনি বলেন, অষ্টম শ্রেণিতে যে অংশটুকু পড়ানো হয়নি, অথচ নবম শ্রেণিতে তা প্রয়োজন সেগুলো পরবর্তী শ্রেণিতে কিভাবে সমন্বয় করা যায় সে ব্যাপারে বেডুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এ বছর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা হচ্ছে না বলে ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এসব শিক্ষার্থী কিভাবে পরবর্তী শ্রেণিতে উঠবে সে ব্যাপারটি নিয়ে অনেকটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিল শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। সে ব্যাপারেই আজকের সভায় সিদ্ধান্ত নিল শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানরা।

গত ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে তা স্থগিত রয়েছে। কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়া হলেও অন্যসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা আছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে