সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ কয়েকজন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। বেড়াতে গিয়ে ওই গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে এসএমপির শাহপরান থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে ছাত্রাবাসটি থেকে স্বামীসহ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি।
জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে আসেন দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির এক তরুণী। এ সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন তাদের পার্শ্ববর্তী ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে ধর্ষণ করেন তারা। খবর পেয়ে পুলিশ স্বামী ও স্ত্রীকে উদ্ধার করে এবং ওই তরুণীকে ওসমানী হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করে।
ধর্ষণের ঘটনার পর অভিযানে নামলেও এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি।
এমসি কলেজের ১২৮ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণের খবর সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সচেতন নাগরিকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
শাহপরান থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী জানান, এক দম্পতিকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে আটকে রাখার খবর পেয়ে পুলিশ ছাত্রাবাস থেকে তাদের উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া নারী ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। পরে তাকে ওসমানী হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।