সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে নববধূ গণধর্ষণের আলোচিত ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার ভোররাতে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে পুলিশ ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়া সকালে হবিগঞ্জের মাধবপুর সীমান্ত এলাকা মামলার চার নম্বর আসামি অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শাহপরান থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, ঘটনার পর থেকেই পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে কাজ করে যাচ্ছিল। সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে প্রধান আসামি এবং চার নম্বর আসামিকে হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি। এছাড়া তারা যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন সেজন্য সীমান্তে সতর্কতা জারির কথাও জানান ওসি।
এজাহার অনুযায়ী, আসামি সাইফুর রহমানের বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জে। তার বর্তমান ঠিকানা এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়কের বাংলো। আর অর্জুন লস্করের বাড়ি জকিগঞ্জের আটগ্রামে।
অর্জুন লস্করকে ইতিমধ্যে সিলেট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আনা হয়েছে। সাইফুর রহমানকেও আনা হচ্ছে। তাদেরকে জেলা পুলিশ থেকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
শনিবার সকালে নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- এমসি কলেজ ছাত্রলীগকর্মী সাইফুর রহমান, কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, অর্জুন লস্কর ও বহিরাগত ছাত্রলীগকর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে স্বামীর সাথে বেড়াতে আসা ওই তরুণীকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার বলেন, ‘ওই নববধূ তার স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে ঘুরতে আসেন। এক পর্যায়ে তার স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য কলেজের গেইটের বাইরে বের হন। এসময় ৬/৭ জন যুবক তরুণীকে জোরপূর্বক তুলে এমসি কলেজ ছাত্রাবাস এলাকায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় তার স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করা হয় বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
খবর পেয়ে পুলিশ রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই তরুণীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করেছে।