আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় ছুটি আবারও বাড়ছে বলে জানা গেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে।
তারা বলছেন, ছুটি বাড়ানো না হলে আর পাঁচ দিন পর খোলার কথা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু এখনো সে রকম কোনো নির্দেশনা যায়নি কোনো প্রতিষ্ঠানে।
জানা যাচ্ছে, স্কুল খোলার পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি বলে মনে করছে শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয়। তাই করোনাভাইরাস থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ রাখতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে ভাবছে তারা। তবে নতুন করে কত দিন ছুটি বাড়ানো হবে সেটি এখনো ঠিক হয়নি।
দেশে এখন পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, এই পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে কি না সে বিষয়ে দুই মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে। তবে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। স্কুল খোলার আগে স্কুল কর্তৃপক্ষকে কোন ধরনের গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে তা আমরা জানিয়ে দিয়েছি। সে অনুযায়ী কাজ চলছে।
চলতি সপ্তাহেই ছুটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে উল্লেখ করে আকরাম-আল-হোসেন বলেন, আমাদের হাতে আরও চার দিন আছে। এর মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে
এদিকে সামনের শীতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে সম্প্রতি আশঙ্কা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে ব্যাপারে সবাইকে প্রস্তুতি রাখতে নির্দেশনা দেন তিনি।
পরদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে বলে এক অনুষ্ঠানে জানান।
চলমান ছুটির পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারে এমন একটা আলোচনা চলতি মাসের মাঝামাঝিতে শোনা যাচ্ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে সেটি আর শোনা যাচ্ছে না। করোনা কালে স্কুল খুললে যে গাইডলাইন পরিপালন করা হতো সেটি স্কুলগুলোকে জানানোর পর আর কোনো নির্দেশনা মন্ত্রণালয় থেকে পায়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুয়ারা খাতুন বলেন, আর কয়েকটা দিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মেয়াদ শেষ হবে। স্কুল খোলার ব্যাপারে মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে আমরা গাইডলাইন অনুযায়ী স্কুল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
নতুন করে আর কত দিন ছুটি বাড়ানো হবে সে বিষয়ে জানা না গেলেও ছুটি বাড়ছে এটা নিশ্চিত বলেই জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, শীতে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আশঙ্কা করছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি মনে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি আরও বাড়বে।