বার্সেলোনায় রোনাল্ড কোম্যান অধ্যায়ের শুরুটা হলো দারুণ এক জয়ে। নতুন দিনের সূচনায় বড় অবদান থাকল বার্সেলোনার নতুন নায়ক আনসু ফাতির। ১৫ আর ১৯ মিনিটে জোড়া গোল করে তিনিই শুরুতে চাপ কমিয়ে দিয়েছিলেন বার্সার। বার্সার ‘পুরোনো নায়ক’ লিওনেল মেসিও গোল করেছেন। ৩৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়িয়েছিলেন তিনি। আর প্রথমার্ধ শেষের ঠিক আগে মেসির আরেক ক্রস থেকে পাউ তোরেস আত্মঘাতী গোল করে বসেন। দ্বিতীয়ার্ধে বার্সা আর গোল করতে পারেনি, ভিয়ারিয়ালকেও সে সুযোগ দেয়নি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ৮-২ গোলের হার দিয়ে গত মৌসুম শেষ করা বার্সেলোনা ২০২০-২১ মৌসুমের শুরুতে ছিল সাবধানী। ৪-২-৩-১ ফরমেশনে নিজেদের যেন পরীক্ষা করে নিচ্ছিল। বিপরীতে স্বাগতিকদের জায়গা না দেওয়ার পণ করে নেমেছিল ভিয়ারিয়াল।
তবে ম্যাচের মাত্র ১৫তম মিনিটেই এগিয়ে যায় বার্সা। নিজেদের অর্ধ থেকে বাড়ানো বল দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সে কাট ব্যাক করেন জর্দি আলবা। বল ধরে নিখুঁত এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন ফাতি। ব্যবধান দ্বিগুণ করতে মাত্র চার মিনিট সময় নেয় স্বাগতিকরা। আবারও গোল করেন সেই ফাতি। ফিলিপ কৌতিনহোর বাড়ানো বল ধরে দারুণ এক কোণাকোণি শটে বল জালে জড়ান এ তরুণ।
এরপর পাঁচ দুই মিনিটের ব্যবধানে দুটি সহজ সুযোগ মিস করে বার্সা। ২৫তম মিনিটে লিওনেল মেসির শট প্রায় গোললাইন থেকে আটকে দেন প্রতিপক্ষ এক ডিফেন্ডার। পরের মিনিটে জর্দি আলবার জোরালো শট অবশ্য দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন ভিয়ারিয়াল গোলরক্ষক সের্জিও আসেনিও।
৩৫তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ায় বার্সা। সফল স্পট কিক থেকে লক্ষ্যভেদ করেন মেসি। ডি-বক্সের মধ্যে আনসু ফাতিকে ফাউল করেছিলেন মারিও গ্যাসপার। ফলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান আরও বাড়াতে পারতো স্বাগতিকরা। রোবার্তোর কাট ব্যাকে দারুণ এক ভলি করেছিলেন কৌতিনহো। তবে তারচেয়েও দারুণ দক্ষতায় তা ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক আসেনিও।
তবে প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ঠিকই ব্যবধান বাড়িয়ে ফেলে বার্সা। সের্জিও বুসকেতসকে উদ্দেশ্য করে মেসির বাড়ানো বল ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল পাঠিয়ে দেন ভিয়ারিয়াল ডিফেন্ডার পিউ তোরেস।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেনি বার্সা। যদিও এ অর্ধে বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিল দলটি। ৬৬তম মিনিটে ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ংয়ের পাস থেকে বল পেয়ে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন মেসি। তবে অসাধারণ দক্ষতায় তা ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক আসেনিও। ছয় মিনিট পর আলবার ক্রসে ফাঁকায় হেড নিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।
৮৬তম মিনিটে ডি ইয়ংয়ের কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ এক কোণাকোণি শট নিয়েছিলেন বদলি খেলোয়াড় ফ্রান্সিস্কো ত্রিনকাও। তবে তা ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক আসেনিও। ফিরতি বল ভিয়ারিয়ালের এক খেলোয়াড় পা ঘুরে পেয়ে যান মেসি। দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জোরালো এক শট নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবারও দক্ষতার সঙ্গে তা ঠেকিয়ে দেন ভিয়ারিয়াল গোলরক্ষক। ৮৯তম মিনিটে ভিয়ারিয়ালের কাসেফুসো কুবোর দূরপাল্লার শট ঠেকিয়ে দেন বার্সা গোলরক্ষক নেতো