এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণকাণ্ডে আরেক আসামি মাসুম গ্রেপ্তার

সিলেট প্রতিনিধি

মাহফুজুর রহমান মাসুম
মাহফুজুর রহমান মাসুম। ছবি : সংগৃহিত

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের মামলার আরেক আসামি মাহফুজুর রহমান মাসুমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিলেটের জৈন্তাপুরের হরিপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন কানাইঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) স্বপন চন্দ্র সরকার।

universel cardiac hospital

মাহফুজ কানাইঘাটের দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউপির লামা দলইকান্দি গ্রামের বাসিন্দা সালিক আহমদ ছেলে। এ নিয়ে এই ঘটনায় প্রধান আসামিসহ এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া আরও দুজনকে আটক করা হয়।

সোমবার মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলামকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

সিলেট মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানিয়েছেন আদালত পুলিশের সহকারী কমিশনার অমূল্য কুমার চৌধুরী।

আদালতে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না বলে নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খোকন কুমার দত্ত।

রবিবার সকালে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা থেকে অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করা হয়।

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। আর নবীগঞ্জ থেকে রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়া গণধর্ষণের ঘটনায় রাজন মিয়া ও আইনুদ্দিন নামের আরেক ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেট নগরীর টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে স্বামীর সাথে বেড়াতে আসা ওই এক গৃহবধুকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করেন কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী। এ ঘটনায় শনিবার সকালে নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, এমসি কলেজ ছাত্রলীগকর্মী সাইফুর রহমান, কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাসুম, অর্জুন লস্কর ও বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ।

শাহপরান থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী জানান, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ ধর্ষণের মামলায় এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। বাকিদের আজ মঙ্গলবার আদালতে তোলা হবে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে