করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগে জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য গণমাধ্যমকেএই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করা। গ্রেপ্তারের পর তাকে দুদক কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে।
করোনা শুরুর পর মার্চের শেষ ভাগে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে যেসব মাস্ক পাঠানো হয়, তার প্যাকেটে ‘এন-৯৫’ লেখা থাকলেও ভেতরে ছিল সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক।
রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, মহানগর জেনারেল হাসপাতালে এন-৯৫ মাস্কের মোড়কে সাধারণ মাস্ক দেওয়ার ঘটনায় তোপের মুখে পড়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও কেন্দ্রীয় ঔষধাগার।
রাজধানীর হাসপাতালগুলোতেও ভুল মাস্ক সরবরাহে নাম আসে জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের। এ ঘটনায় জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল দুদক। গত ১ জুলাই সংশ্লিষ্ট নথিপত্রসহ তাকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আসতে নোটিস দিয়েছিল দুদকের এই অনুসন্ধান দল।
অনুসন্ধান দলের প্রধান দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল ৮ জুলাই জেএমআই হাসপাতাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমেটেডের চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এন-৯৫ মাস্ক ও পিপিইসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে গত ১৫ জুন জয়নুল আবেদীন শিবলীকে প্রধান করে চার সদস্যের এই অনুসন্ধান টিম গঠন করে দুদক।