শিগগিরই তিস্তাসহ ৭ নদীর পানিবণ্টন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

এ কে আবদুল মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। ফাইল ছবি

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে সবচেয়ে বড় ‘কাঁটা’ তিস্তাসহ সাত নদীর পানিবণ্টন শিগগিরই ন্যায্যতার ভিত্তিতে সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নেতৃত্বে যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

universel cardiac hospital

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে তিস্তা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিস্তা চুক্তির সমাধান হবে। ন্যায্যতার ভিত্তিতে তিস্তাসহ সাতটি নদীর পানিবণ্টন শিগগিরই হবে।

তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তিটি হয়ে যাওয়ার কথা ছিল সেই ২০১১ সালে। সে সময়ের ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরে চুক্তি সইয়ের বিষয়টি চূড়ান্তও ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আপত্তিতে শেষ মুহূর্তে আটকে যায়। সেই মমতাই এখনো বাধা হয়ে আছেন। তাকে বাগে আনতে পারেননি মোদিও।

বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নেতৃত্বে যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) বৈঠক এবার প্রথমবারের মতো ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও ভারতের পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বৈঠকে নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে মোমেন বলেন, বৈঠকে অভিন্ন নদ-নদীগুলোর পানিবণ্টন, ভারতীয় ঋণের (লাইন অব ক্রেডিট, সংক্ষেপে এলওসি) আওতাধীন প্রকল্পগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে।

করোনার মহামারির কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এয়ার বাবল ও বন্ধ থাকা উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মোমেন বলেন, করোনার জন্য উভয় দেশের মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় আমরা ভারতকে সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা খুলে দেয়ার অনুরোধ করেছি।

চলতি বছরের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভার্চুয়ালি বৈঠক করবেন বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সীমান্ত হত্যা বন্ধে ঢাকা-নয়া দিল্লি একমত

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত হত্যা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা হলেও চলতি বছরে সীমান্ত হত্যা বেড়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যে ভারতকে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে ঢাকা। এ নিয়ে সম্প্রতি ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ বৈঠকও করেছে।

আজকের বৈঠকে ভারত সীমান্ত হত্যা বন্ধে পুরোপুরি একমত হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সোনালী অধ্যায়ের মধ্যে সীমান্ত হত্যা অগ্রহণযোগ্য। যেখানে বেশি হত্যাকাণ্ড হয় সেখানে উভয় দেশের সীমান্ত বাহিনীর যৌথ টহলের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সীমান্ত হত্যা নিয়ে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন। এই ইস্যুতে ভারতও একই প্রকার মনোভাব প্রকাশ করেছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে