গতবছর প্রত্যেকটি ব্যাংকই ‘ভালো’ করেছে। প্রত্যেক ব্যাংকের ব্যালেন্স শিট অনেক ভালো। খেলাপি ঋণের পরিমাণও কমের দিকে। আর একারণে গ্রাহককে সাহায্য করার জন্য ব্যাংকগুলোর জন্য এটাই সবচেয়ে ভালো সময়। গ্রাহকেরা উপকৃত হলে দিন শেষে লাভবান হবে ব্যাংকগুলো। ব্যবসায়ীরা যদি ভালো থাকে তাহলে ব্যাংকগুলোও ভালো থাকবে।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে বুধবার সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন। করোনাকালের বাস্তবতায় এখন বৃহত্তর স্বার্থে অর্থমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের পক্ষে আছেন বলেও এসময় জানান।
গত সোমবার একটি প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের কিস্তি না দিলেও কোনো ব্যবসায়ীকে ঋণ খেলাপি ঘোষণা করা যাবে না। আবার এই সময়ে ঋণের ওপর কোনো ধরনের দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি আরোপও করা যাবে না। তবে যদি কেউ ঋণ শোধ করে নিয়মিত গ্রাহক হন, তাকে খেলাপি গ্রাহকের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
এ বিষয় প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা করোনার জন্যই বাড়ানো হয়েছে। এখন আমরা মোটামুটিভাবে সুযোগ দিয়েছি; টাকা তো মাফ করে দেইনি, টাকা আমরা পাব। কিন্তু সময় বাড়িয়ে দিয়েছি। সময় না বাড়িয়ে এসময় যদি আমরা বাধা সৃষ্টি করি তাহলে এক্সপোর্ট অর্ডারগুলো (রপ্তানি আদেশ) বাস্তবায়ন করা যাবে না। আমরা আমদানি করছি, এখন এলসিগুলোর নিষ্পত্তি করতে পারবো না। বিভিন্ন জায়গায় বাধাগ্রস্ত হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, যেই মুহূর্তে লোনটি ক্লাসিফাইড হয়ে যাবে, সেই মুহূর্তে স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। এই মুহূর্তে আমরা মনে হয়- এটা করা ঠিক হবে না। করোনাকালে ব্যবসায়ীদের সাহায্য করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
এ সিদ্ধান্তের ফলে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলো তাদের আয়ের ওপরে প্রভাব ফেলছে বলে জানিয়ে আসছে। এবিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি শুধু আয় নয়, অনেকগুলো বিষয় বিবেচনা করে করা হয়েছে। এখন কোনও না কোনও ভাবে কিছু হলে কেউ তো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু আমরা এখন বৃহত্তর স্বার্থে ব্যবসায়ীদের পক্ষে আছি। আমি মনে করি, ব্যবসায়ীরা যদি ভালো থাকে ব্যাংকগুলোও ভালো থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের কোনও গ্রাহককে খেলাপি ঘোষণা করে কষ্ট দিচ্ছে না মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, সুতরাং তাদের ব্যবসায় প্রভাব পড়ার কোন কারণ নেই।