প্রায় ২৮ দিন চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে পায়ে হেঁটেই হাসপাতাল ছাড়লেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান এবং জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. জাহেদ হোসেন।
ডা. জাহেদ হোসেন জানান, ওয়াহিদা খানম এখন সুস্থ। স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারছেন। তিনি এখন হাঁটছেন, খাচ্ছেন, কথা বলছেন। সামান্য দুর্বলতা আছে, একটু খোঁড়াচ্ছেন। সপ্তাহখানেকের মধ্যে তাও ঠিক হয়ে যাবে।
ছাড়পত্র পাওয়ার পর পায়ে হেঁটে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ ছেড়ে যান ওয়াহিদা খানম। এ সময় তাকে অনেকটা সুস্থই দেখা গেছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরের সরকারি বাসভবনে ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। হাতুড়ির আঘাতে আহত বাবা-মেয়েকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ইউএনও ওয়াহিদাকে ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে আনা হয়।
৩ সেপ্টেম্বর রাতে অস্ত্রোপচারের পর নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে রাখা হয় ওয়াহিদা খানমকে। শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে ৭ সেপ্টেম্বর আইসিইউ থেকে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে চিকিৎসার সুবিধার জন্য গত ১৯ সেপ্টেম্বর ওয়াহিদা খানমকে ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দায়িত্ব থেকে বদলি করে ঢাকায় আনা হয়। তবে হাসপাতালে থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে তাকে নতুন কোনো দায়িত্ব না দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে রাখা হয়েছে।
ওয়াহিদার স্বামী মো. মেজবাউল হোসেন রংপুরের পীরগঞ্জের ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। স্ত্রীর চিকিৎসার বিষয়ে তিনি যেন সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখতে পারেন সেজন্য তাকেও বদলি করে ঢাকায় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে আনা হয়েছে।