সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে দলবেঁধে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুক্রবার রাতে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের ২য় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমানের আদালতে এ জবানবন্দি দেন তারা।
এর আগে আজ বিকালে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয় বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহাকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী।
জবানবন্দিতে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ও অন্য আসামি অর্জুন লষ্কর ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালতকে জানিয়েছেন। আর এজাহারভুক্ত অন্য আসামি রবিউল ইসলাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের ২য় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমানের আদালতে ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন। জবানবন্দি শেষে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়।
আজ বিকাল তিনটায় কড়া নিরাপত্তায় অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের হাজির করে পুলিশ। গত রবিবার মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলামকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
এছাড়াও মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আরও পাঁচ আসামির পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আগামীকাল শনিবার মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি রাজন, আইনুল ও মাহবুবুর রহমান রনিকে রিমান্ড শেষে আদালতে তোলার কথা রয়েছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে আসা ওই গৃহবধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- এমসি কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টর্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, অর্জুন লস্কর ও বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ। এছাড়া অজ্ঞাত আছেন আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।