করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হওয়ার পর অতিরিক্ত সতর্কতার অংশ হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মেরিল্যান্ডের ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিকেল সেন্টারে নেয়া হয়েছে।
এর আগে স্থানীয় সময় বিকেলে হাসপাতালের উদ্দেশে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করেন তিনি।
হোয়াইট হাউস ত্যাগ করার আগে স্যুট ও মাস্ক পরে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিশেষ হেলিকপ্টার মেরিন ওয়ান-এ উঠতে দেখা যায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে হাত নাড়লেও কারও সঙ্গে কথা বলেননি।
হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্টের শরীরে মৃদু করোনা উপসর্গ দেখা দিয়েছে। শরীরে হালকা জ্বর রয়েছে। তবে তিনি বেশ চাঙা রয়েছেন। তাকে কিছু ওষুধও দেয়া হয়েছে।
এদিকে করোনা আক্রান্ত হলেও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেননি বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর আলিসা ফারাহ।
তিনি বলেছেন, ট্রাম্প এখনো প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে রয়েছেন। অতিরিক্ত সতকর্তার অংশ হিসেবে এবং চিকিৎসকদের পরামর্শে আগামী কয়েকদিন ওয়াল্টার রিড মেডিকেল সেন্টার থেকে দায়িত্ব পালন করে যাবেন তিনি।
এর আগে শুক্রবার সকালে টুইট করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, আজ রাতে মেলেনিয়া ট্রাম্প ও আমার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আমরা দ্রুত কোয়ারেন্টাইন ও সুস্থতার প্রক্রিয়া শুরু করব।
পরে এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শরীরে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) মৃদু উপসর্গ দেখা দিয়েছে।
বুধবার ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা হোপ হিকসের করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেনের সঙ্গে ওহাইওর ক্লিভল্যান্ডে প্রথম নির্বাচনী বিতর্কে অংশ নিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে এয়ার ফোর্স ওয়ানের বিমানে সঙ্গী ছিলেন হোপ।
ট্রাম্পের মতো মেলানিয়া ট্রাম্পের শরীরেও করোনার মৃদু উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তবে তিনি সার্বিকভাবে ভালো বোধ করছেন বলে এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাসের জটিলতার উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন বলে সতর্ক করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা বলেছেন, অনেক কারণ রয়েছে যেগুলো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে করোনাভাইরাসের গুরুতর জটিলতায় ফেলেছে।
চিকিৎসকদের মতে, বয়স এবং অতিরিক্ত ওজনের কারণে কোভিড-১৯ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।