বাংলাদেশের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারী সম্পর্ককে চীন আরও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুসংহত করতে এবং যৌথভাবে বেল্ট অ্যান্ড রোডের নির্মাণ এগিয়ে নিতে বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে যৌথভাবে কাজ করার জন্য প্রস্তুত থাকার কথাও জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৪৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে আজ রোববার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে অভিনন্দন বার্তা বিনিময় অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এসব কথা বলেন।
বার্তায় চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, চীন-বাংলাদেশের বন্ধুত্বের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা আরও দৃঢ় হয়েছে। ৪৫ বছর আগে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে দুই দেশই সর্বদা একে অপরকে সম্মান জানিয়ে এসেছে। দুই দেশই পারস্পরিক রাজনৈতিক বিশ্বাসকে বাড়িয়ে তুলেছে। পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করেছে, যা দুই দেশের জন্যই সুস্পষ্ট সুবিধা বয়ে এনেছে।
শি জিনপিং বলেন, কেভিড-১৯ তথা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর চীন এবং বাংলাদেশ উভয়ই নানা সংকটের মুখোমুখি হলেও মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একে অপরকে সহায়তা করেছে। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বন্ধুত্বের নতুন অধ্যায় রচিত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার বার্তায় বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার সম্পর্ক দ্রুত বিকাশ লাভ করছে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে, যার প্রতি বাংলাদেশ বেশ গুরুত্ব দেয়।
বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের অগ্রগতিতে চীনের অব্যাহত সহায়তার প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।
এদিকে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৪৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও অভিনন্দন বার্তা বিনিময় করেছেন। বার্তায় চীনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর করতে এবং চীন-বাংলাদেশ কৌশলগত অংশীদারত্বের স্থিতিশীল এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য দু’দেশ ও তাদের জনগণের উন্নতির জন্য উৎসাহী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারত্ব দুই দেশের সময়ের পরীক্ষিত বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতা থেকেই গড়ে উঠেছে।