নিজেদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছেন নির্বাচন কমিশনাররা। এসব সুবিধার মধ্যে রয়েছে- পেনশন, আজীবন পেনশন সুবিধা, আপ্যায়ন ও চিকিৎসা সুবিধা। তাদের দিতে হবে না কোনো আয়করও। এজন্য বিদ্যমান এ-সংক্রান্ত আইন সংশোধনের জন্য খসড়া প্রস্তুত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
খসড়া আইন অনুযাযী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করলে সর্বশেষ উত্তোলিত বেতনের শতভাগ পেনশন সুবিধা পাবেন। আবার ন্যূনতম ছয় মাস দায়িত্ব পালন করলেই আজীবন পেনশন সুবিধাও পাবেন। আর নির্দিষ্ট মেয়াদে দায়িত্ব পালনের পর তারা অবসরে পেনশনের পাশাপাশি অ্যাপায়ন ও চিকিৎসা ভাতা তুলতে পারবেন।
খসড়া আইনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বেতন মাসে এক লাখ ৫ হাজার টাকা ও নির্বাচন কমিশনারদের বেতন ৯৫ হাজার টাকা ধরা হয়েছে।
পেনশনের বাইরে অবসরের পর সিইসি প্রতিমাসে আট হাজার টাকা এবং নির্বাচন কমিশনাররা প্রতিমাসে পাঁচ হাজার টাকা আপ্যায়ন ভাতা পাবেন।
ইসির একাধিক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, খসড়া আইনটি কমিশনারদের নির্দেশে করা হয়েছে। আগামীতে যে কোনো কমিশন বৈঠকে উত্থাপন করা হবে। এরপর তা পাঠানো হবে আইন মন্ত্রণালয়ে। এটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেলে সংসদে পাস হবে।
এ-সংক্রান্ত আইন সংশোধনী কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিদ্যমান আইনে সুযোগ-সুবিধাদি টাকার অংকে বলা নেই। শুধু প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আপিল বিভাগের বিচারপতি ও নির্বাচন কমিশনারদের হাইকোর্টের বিচারপতির সমান সুযোগ পাওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। বিদ্যমান আইনে নির্বাচন কমিশনারদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি সরাসরি উল্লেখ না থাকায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে টাকা দিতে জটিলতা তৈরি হয়। এজন্য আইনটি সংশোধন করা হচ্ছে।’
খসড়ায় নির্বাচন কমিশনারদের আজীবন পেনশন সুবিধা রাখা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার অন্তত ছয় মাস দায়িত্ব পালন করার পর পদত্যাগ, মেয়াদ না থাকার কারণে অধিষ্ঠিত না হলে বা মারা গেলে তিনি পেনশন পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন।
এক্ষেত্রে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করলে ৫/৫ হারে সর্বশেষ উত্তোলিত বেতনের শতভাগ, চার বছর দায়িত্ব পালন করলে ৪/৫ হারে ৮০ ভাগ এবং তিন বছর পূর্তিতে ৩/৫ হারে ৬০ ভাগ মাসিক পেনশন পাবেন।