আর্মেনিয়ার দখল থেকে আরেক শহর মুক্ত করেছে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। রোববার তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে। খবর ইয়েনি শাফাক।
আজারবাইজানের বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, বায়ুক মারকানলি, ম্যারালিয়ান ও শেবি গ্রামগুলোর পর আজারবাইজানের সেনাবাহিনী দখলকৃত জাবরাইল শহর মুক্ত করেছে। যা কারবাখের সংকটপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল।
এর আগে বিতর্কিত কারাবাখের মাদাগিজ শহর দখল করে পতাকা উত্তোলন করেছে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। ওই শহরটি এক সময় আর্মেনিয়া দখল করে নিয়েছিল। শনিবার এক ঘোষণায় আর্মেনিয়ার প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এ কথা জানান।
এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, আজ (শনিবার) আজারবাইজানের সেনাবাহিনী মাদাগিজে আমাদের পতাকা উত্তোলন করেছে। মাদাগিজ আমাদের। কারাবাখ আজারবাইজানের।
আলিয়েভ আরও যোগ করেন, শনিবার পুনরায় শহরটির ঐতিহাসিক নাম সুগোভুশান রাখা হয়েছে।
এদিকে আজারবাইজানের দ্বিতীয় বৃহত্তর শহর গানজায় রয়েক হামলা চালিয়েছে আর্মেনিয়া। এতে এক বেসামরিক ব্যক্তি নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। তবে এ হামলার দায় অস্বীকার করেছে আর্মেনিয়া।
আর্মেনিয়ার রকেট হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আজারি প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। আর্মেনিয়ার অভ্যন্তরে যেসব শহর থেকে হামলা চালানো হয়েছে সেসব এলাকা ধ্বংস করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
রোববার আজারি প্রেসিড্টে বলেন, আর্মেনিয়ার সামরিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করবে আজারবাইজান, যেখান থেকে আজারি শহরে আর্মেনিয়া হামলা চালিয়েছিল।
বিতর্কিত অঞ্চল নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে গত সপ্তাহে বিরোধে জড়ায় দুই প্রতিবেশী দেশ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। বাকু দাবি করে, আজারবাইজানের বেসামরিক অঞ্চল ও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায় আর্মেনিয়া। ফলে দুই দেশের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলার সূচনা হয়।
এরপরেই আজারবাইজানের সংসদ দেশটির কয়েকটি শহর ও অঞ্চলে যুদ্ধাবস্থা ঘোষণা করে।
নাগোরনো-কারাবাখ আজারবাইজারের ভেতরে হলেও আর্মেনীয় নৃগোষ্ঠীর লোকজন অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে, আর্মেনিয়া তাদের সমর্থন দিচ্ছে। ১৯৮৮-৯৪ সাল পর্যন্ত যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অঞ্চলটি আজারবাইজান থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও স্বাধীন দেশ হিসেবে এখনো কারো স্বীকৃতি পায়নি।