চীনের প্রভাব ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারত একজোট হয়েছে। এ নিয়ে টোকিওতে দু’দিনের বৈঠকে বসছেন চার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। বিবিসি জানিয়েছে, সীমান্ত নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে প্রায় চার মাস ধরে চলা বিপজ্জনক উত্তেজনার মধ্যে মঙ্গলবার থেকে জাপানের রাজধানী টোকিওতে শুরু হওয়া বৈঠকটি নিয়ে বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র মিলে ‘কোয়াড্রিল্যাটেরাল সিকিউরিটি ডায়ালগ’ বা কোয়াড নামে একটি জোটও রয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পাল্টা সামরিক মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে চীন।
মঙ্গল ও বুধবার টোকিওতে কোয়াডের এই বৈঠক চলার সময় একই সঙ্গে তিন থেকে চারটি নৌ এবং বিমান মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং।
বিবিসি বলছে, কোয়াডের চারটি সদস্য দেশের মধ্যে ২০১৭ সাল থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়মিত বৈঠক হচ্ছে – কিন্তু চীনকে আটকাতেই যে এই জোটবদ্ধ উদ্যোগ, পরিষ্কার করে তা কখনই বলা হয়নি।
এমনকি এসব বৈঠক নিয়ে এই চারটি দেশের সরকারগুলোর পক্ষ থেকে জনসমক্ষে যেসব ঘোষণা দেয়া হয়েছে বা যেসব নথিপত্র চালাচালি হয়েছে, তার কোথাও চীন শব্দটিই নেই। কিন্তু অনেক পর্যবেক্ষক মনে করছেন, টোকিও বৈঠকে তা বদলে যেতে পারে।
কারণ যে দেশটি এই প্লাটফর্মকে প্রকাশ্যে ‘চীন-বিরোধী‘ তকমা দিতে সবচেয়ে বেশি কুণ্ঠিত ছিল, সেই ভারত তাদের অবস্থান অনেকটাই বদলে ফেলেছে।
কোয়াডের বৈঠকের আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আলাদা করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে কথা বলেছেন। লাদাখে সংঘর্ষের পর এই প্রথম মুখোমুখি আলোচনায় বসলেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠকের পর জয়শঙ্কর টুইটে বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জয়শঙ্করের কথা থেকে পরিষ্কার যে, চীনকে ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত একযোগে কাজ করবে।