হাসপাতাল ছেড়ে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

হাসপাতাল ছেড়ে হোয়াইট হাউসে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার তিন দিন পর হোয়াইট হাউসে ফিরে গেছেন তিনি।

মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে গেছেন বলে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়। একইসঙ্গে শিগগিরই নির্বাচনী প্রচারের জন্য মাঠে নামার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

universel cardiac hospital

এর আগে ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় জানিয়েছিলেন, তিনি ‘ভালো বোধ’ করার কারণে হাসপাতাল থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছিলেন, আমি স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ওয়ালটার রিড মেডিকেল সেন্টার ত্যাগ করবো। খুবই ভালো লাগছে। করোনাকে ভয় পাবেন না। করোনা যেন আপনার জীবনে আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে বেশ কিছু ওষুধের উন্নয়ন ও জ্ঞানের বিকাশ সম্ভব হয়েছে। ২০ বছর আগের চেয়ে আমি এখন বেশি ভালো অনুভব করছি।

গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর ট্রাম্প নিজেই এক টুইটে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানান। তার স্ত্রী ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও ‘পজিটিভ’। টুইটারে হোয়াইট হাউসে আইসোলেশনে থাকার কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

মৃদু উপসর্গ দেখা দেওয়ায় এবং রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে শুরু করায় শুক্রবার তাকে ওয়ালটার রিড মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকালের পর ট্রাম্পের জ্বর বাড়ায় এবং রক্তে অক্সিজেন আবারও কমে যাওয়ায় তাকে কিছুক্ষণ কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবারের পর ট্রাম্পের আর জ্বর আসেনি। তিনি ভালো আছেন এবং স্থানীয় সময় সোমবার নাগাদ হোয়াইট হাউসে ফিরে যেতে পারেন বলে জানিয়েছিলেন তার চিকিৎসকরা। সব ঠিক থাকলে বাড়িতেই তার চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানান।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক মাস আগে ট্রাম্পের এই অসুস্থতায় স্বাভাবিকভাবেই তার নির্বাচনী প্রচার থমকে গেছে। সমর্থকরাও তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকায় অনেকে হাসপাতালের সামনে জড়ো হন।

হাসপতালের সামনে জড়ো হওয়া সমর্থকদের বিস্মিত করে দিয়ে রবিবার বিকালে অসুস্থ শরীরেই মোটর শোভাযাত্রা করেন ট্রাম্প। শোভাযাত্রা শেষে আবার হাসপাতালে ফিরে যান।

শোভাযাত্রায় বের হওয়ার কিছুক্ষণ আগে টুইটারে পোস্ট করা ভিডিওতে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘এটা দারুণ আকর্ষণীয় জিনিস এবং আমি আপনাদের এটার সম্পর্কে বলব। তার আগেই এই সময়টাতে আসুন আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে ভালোবাসি, যা ঘটছে সেটাকে ভালোবাসি।’

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে