নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও তিনজনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার বিকেলে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-৩ এর বিচারক মাসফিকুল হক এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মাঈন উদ্দিন সাজু, আনোয়ার হোসেন সোহাগ ও নুর হোসেন রাসেল।
এর মধ্যে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় মাঈন উদ্দিন সাজুর তিনদিন করে ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। এছাড়া পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আনোয়ার হোসেন সোহাগ ও নুর হোসেন রাসেলের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট সাতজনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
জানা গেছে, গত ২ সেপ্টেম্বর ওই গৃহবধূর স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে দীর্ঘদিন পর বাবার বাড়িতে আসেন। রাত ৯টার দিকে শয়নকক্ষে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ছিলেন। এ সময় বাদল, রহিম, আবুল কালাম, ইসরাফিল হোসেন, সাজু, সামছুদ্দিন সুমন, আবদুর রব, আরিফ ও রহমত উল্লাহসহ অজ্ঞাত কয়েকজন দরজা ভেঙে তাদের ঘরে প্রবেশ করে। এরপর তার স্বামীকে মারধর করে পাশের কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে।
একপর্যায়ে তারা ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে রাজি না হলে তারা তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালায় এবং মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা কাউকে কিছু জানালে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর কাউকে কিছু না জানিয়ে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ জেলা শহর মাইজদীতে বোনের বাড়ি আশ্রয় নেন।
সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে হামলাকারীরা তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে রোববার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। টনক নড়ে প্রশাসনের। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।