সব জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রকাশ হওয়ায় দেশ ইতিহাস বিকৃতি থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পেয়েছে।
বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ব্রেইল সংস্করণের মোড়ক উন্মোচনের সময় এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু জীবনী নিয়ে তার লেখাগুলো খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন সরকারপ্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনী ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল। অসমাপ্ত আত্মজীবনী সংস্কারের মাধ্যমে তা আবার ফিরে আসে।
সরকারপ্রধান বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস আছে এই অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইয়ে। এই বই প্রকাশের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা থেকে কিছুটা মুক্তি পায় জাতি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০১ সালে খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর চেয়ার সরিয়ে দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয থেকে। তারপরও আমি সব লেখা খুঁজে অনেক চেষ্টা করে একত্রিত করি।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পাঠকদের কথা বিবেচনা করে ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপন উপলক্ষে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটির ব্রেইল সংস্করণ প্রকাশে উদ্যোগ নেয়। প্রথম ধাপে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র ১০০ সেট (প্রতিটি ৬ খণ্ড) ব্রেইল সংস্করণ মুদ্রণ সম্পন্ন হয়েছে।