দেশব্যাপী নারী-শিশু ধর্ষণসহ সকল সহিংসতার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সচেতন ছাত্র সমাজের ব্যানারে দুই ঘণ্টাব্যাপী শহরের প্রধান সড়কে মানববন্ধন, বিক্ষোভ, স্লোগানে যুক্ত হন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। এতে বন্ধ হয়ে যায় সকল প্রকার যান চলাচল। স্মরণকালের দীর্ঘ এই মানববন্ধনে ছাত্রদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বুধবার সকাল ১০টায় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে শুরু হয় মানববন্ধন ও জমায়েত। সকাল থেকেই বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শত শত শিক্ষার্থী ধর্ষণ-সহিংসতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দাবি-দাওয়াসহ ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে কর্মসূচিতে যোগদান করতে থাকে। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের গগণবিদারী স্লোগানে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে।
সচেতন ছাত্র সমাজের পক্ষে নওশাদ জামিল নওশান ও মাহমুদা চৌধুরী পলির সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কলেজ শিক্ষক ও আবৃত্তিশিল্পি মনির হোসেন, কলেজ শিক্ষক শাহাদাত হোসেন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, জেলা ছাত্রমৈত্রী নেতা মুহয়ী শারদ, অভিভাবক মাইনুল হক চৌধুরী, সাধারণ ছাত্র আমিনুল জুয়েল, কাজী খালিদ মাহমুদ, আতিকুর রহমান রানা, মেজবাহ উদ্দিন রাফাত, আরিফুর রহমান, কাজী রিফাত আল জাবেদ, মুমতাহিনা রহমান, শার্মিলী আহমেদ, সামিহা তাহসীন অথৈ।
এ সময় ছাত্রসমাজের পক্ষে এ সময় ধর্ষণ বন্ধে ৮ দফা দাবি পেশ করা হয়।
সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সংহতি প্রকাশ করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। দেশের প্রচলিত আইনে ধর্ষক-নির্যাতনকারীদের কঠোর বিচারের দাবিতে সোচ্চার থাকবেন বলেও ঘোষণা দেন তিনি।