মহামারি করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসতে পারে। এর পরের অর্থবছর (২০২১-২২) তা বেড়ে ৩ দশমিক ৪ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।
আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাংক এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করে। এর আগে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছিল, চলতি অর্থবছর বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হতে পারে মাত্র ১ শতাংশ।
অন্যদিকে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) গত ১৫ সেপ্টেম্বর এক প্রতিবেদনে জানায়, চলতি অর্থবছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। এদিকে সংসদে বাজেটে ২০২০-২১ অর্থবছরের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
- আরও পড়ুন >> করোনায় আরও ২০ মৃত্যু, শনাক্ত ১ হাজার ৪৪১
- আরও পড়ুন >> সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা : মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ
বিশ্বব্যাংকের আজকের প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকতে পারে মালদ্বীপ। চলতি অর্থবছরে তাদের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ, যা তার পরের বছর আরও বেড়ে হতে পারে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ভারত। চলতি অর্থবছর তাদের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ঋণাত্মক ৯ দশমিক ৬ শতাংশ। তার পরের অর্থবছর তা বেড়ে হতে পারে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ।
চলতি অর্থবছর আফগানিস্তানের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ২ দশমিক ৫ শতাংশ, তার পরের অর্থবছর ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। চলতি অর্থবছর ভুটানের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ১ দশমিক ৮ শতাংশ, তার পরের অর্থবছর ২ শতাংশ। চলতি অর্থবছর শ্রীলঙ্কার প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ, তার পরের অর্থবছর ২ শতাংশ।
চলতি অর্থবছর নেপালের প্রবৃদ্ধি হতে পারে দশমিক ৬ শতাংশ, তার পরের অর্থবছরে ২ দশমিক ৫ শতাংশ। পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি হতে পারে চলতি অর্থবছর দশমিক ৫ শতাংশ এবং তার পরের অর্থবছর ২ শতাংশ।