সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের নারীদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। এগুলো গুরুতর অপরাধ এবং মানবাধিকারের মারাত্মকলঙ্ঘন। নোয়াখালীর গৃহবধূকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও তার ভিডিও প্রকাশের ঘটনা সামাজিকভাবে নারীর প্রতি বিদ্বেষকে ফুটিয়ে তুলেছে বলে বুধবার জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে মন্তব্য করা হয়।
নোয়াখালীর ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করেছে, এটি কোনো নিছক বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো নিজের টুইটার একাউন্টে বিবৃতিটি প্রকাশ করেছেন।
যারা বিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন তাদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে মিয়া সেপ্পো বলেন, জাতিসংঘ ন্যায়বিচারের দাবিতে সাধারণ জনগণ এবং সুশীল সমাজের পাশে দাঁড়াচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে অব্যাহত ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে জাতিসংঘ নারীর প্রতি সহিসংতার মামলাগুলোর দ্রুত বিচারে আইন সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে। সিলেট ও নোয়াখালীতে দুই নারীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে দেশে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ অংশীদারদের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জেন্ডার বৈষম্য ও পুরুষতান্ত্রিক সামাজিক নীতিগুলো চিহ্নিত করে নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে কাজ করছে। আমরা এমন একটি সমাজ গঠনে কাজ করছি যেখানে নারী ও মেয়েরা নিরাপদ বোধ করবে এবং তারা ক্রমে উন্নয়নের দিকে যাবে।
এ ব্যাপারে, বৈশ্বিক পরিসংখ্যানও উদ্বেগজনক। কারণ আমরা দেখতে পাই যে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা সব অপরাধের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিস্তৃত, কিন্তু সবচেয়ে কম সাজাপ্রাপ্ত। এর বিরুদ্ধে অবশ্যই রুখে দাঁড়াতে হবে।