মানুষ আ.লীগকে নয়, ভয় পায় পুলিশকে: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলছেন, মাসখানেক ধরে দুর্বৃত্তরা এ কাজ করেছে। পুলিশ কিছু করেনি। কারণ, সারা দেশে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ভোটচুরির সরকার প্রশাসনকে ব্যবহার করেছে। তাই মানুষ আওয়ামী লীগকে ভয় পায় না। ভয় পায় পুলিশকে।

ধর্ষণবিরোধী অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরকার পতনের ডাক দিয়েছে বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক কর্মসূচিতে এ ডাক দেওয়া হয়। কর্মসূচিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এ কর্মসূচি জনগণের মধ্যে নতুন আশার আলো সঞ্চার করেছে। এটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। এ দেশের মানুষ কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি। কখনো একনায়ক, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদকে মেনে নেয়নি।

বাংলাদেশে নারী নির্যাতন বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের বিবৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের ইজ্জত মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। বাংলাদেশে ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। সরকারের বিরুদ্ধে একটা কিছু বললেই জেলে দেওয়া হয়।

কর্মসূচি থেকে মির্জা ফখরুল নারী, তরুণসহ সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধ রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, স্বৈরাচার পরাজিত হবে। আমরা জয়ী হব।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মানুষ করোনার ভ্যাকসিন চায় না। মানুষ ধর্ষণবিরোধী ভ্যাকসিন চায়। মানুষ এখন মানসম্মান নিয়ে মরতে চায়। শেখ হাসিনাকে বিদায় দেওয়াই সেই ভ্যাকসিন। দেশ স্বাধীন হয়েছে জীবন ও রক্ত দিয়ে। গণতন্ত্রকেও তা দিয়ে রক্ষা করতে হবে।

নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের ব্যানারে আয়োজিত এ অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, প্রশাসন দিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার ডাকাতি করেছে। আওয়ামী লীগ এখন ডাকাত, লুটেরা, ধর্ষকের দলে পরিণত হয়েছে।

সরকার ধর্ষকদের রক্ষার চেষ্টা করছে দাবি করে মান্না বলেন, এ আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। থামা যাবে না। সরকারের পদত্যাগ চাই। তারা চোরের সর্দার, লুটপাটকারীদের আশ্রয়দাতা। এ সরকারের কাছে জনগণের জান মাল সম্পদ কিছুই নিরাপদ নয়।

কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক ও সাবেক মন্ত্রী বেগম সেলিমা রহমান। ফোরামের সদস্যসচিব নিপুণ রায় চৌধুরীসহ কর্মসূচিতে বিএনপির অঙ্গসংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সকাল সাড়ে ১০-টার দিকে কর্মসূচি শুরু হয়ে শেষ হয় বেলা সোয়া একটার দিকে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে